এম আর খোকন,ইনানী থেকে ফিরেঃ
কক্সবাজারের ইনানীতে লাল কাকড়া সংরক্ষণের সরকারি উদ্যোগ পর্যটনশিল্পে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মত প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে জানান তারা।
জানা যায় ইনানীর মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ইমামের ডেইল এলাকায় সৈকতের বালিয়াড়িতে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সম্প্রতি তিনি ঐ এলাকায় সৈকতের বালিয়াড়িতে লাল কাঁকড়ার প্রজনন বাড়াতে নির্ধারিত এলাকায় সম্পুর্ন ইকো সিস্টেমে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সীমানা প্রাচীর দেয়ার কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাহার এ উদ্যোগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিবেশ ধংসের ধোঁয়া তুলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি। একটি পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ইউএনওর এ উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করে। স্থানীয় এলাকাবাসীর এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে ২২ অক্টোবর সকালে কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন উখিয়া উপজেলা ইমামের ডেইলের সে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের স্থান।
পরিদর্শন করে দেখা যায় ইনানীর মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এ ইমামের ডেইল এলাকায় লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পরিবেশ ধংসের কিছু দেখা যায়নি।
পরিদর্শন শেষে জাসদের নেতা মোহাম্মদ হোসেন মাসু বলেন এখানে ঘুরে দেখেছি কাঁকড়া সংরক্ষণের সরকারি উদ্যোগ প্রসংশনীয়। এতে ইউএনও পরিবেশ ধংসের কিছু করেননি।
নাগরিক ফোরামের সেক্রেটারি এএম আনোয়ারুল হক বলেন ইউএনও কাঁকড়া সংরক্ষণের কাজ ছাড়াও তিনি উক্ত এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করেছেন।সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় উখিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তার এই ব্যাতিক্রমি উদ্যোগটা ইকো ট্যুরিজম সিস্টেমে সম্পুর্ন পরিবেশ সম্মত ভাবে করা হয়েছে। যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতি হয়নি বরং পর্যটক আকর্ষণে একটা ভিন্ন মাত্র যোগ হয়েছে তাঁর এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোছাইন সজিব বলেন আমি উখিয়া উপজেলাধীন ইসিএ এলাকার প্রধান হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পছন্দের লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি এটা কক্সবাজার পর্যটনশিল্পে নতুন মাত্র যোগ করবে।তিনি আরও বলেন এখানে বানিজ্যিক কোন উদ্দেশ্য নেই। সম্পুর্ন ইকো সিস্টেমে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সীমানা প্রাচীর দেয়ার কাজ শুরু করেছি। রাস্তার পাশে ৬টি সোলার প্যানেল স্থাপন করে এলাকার সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছি। যে সোলার প্যানেলের আলো কাঁকড়ার বিচরণ ক্ষেত্রের অনেক দুরে। তিনি বলেন কিছু অসাধু ব্যক্তি আমার এ উদ্যোগটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিবেশ ধংসের ধোঁয়া তুলেছে এতে আমি মর্মাহত হয়েছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ বলেন উখিয়ার ইনানী মেরিন ড্রাইভের পাশে ইমামের ডেইল এলাকায় সৈকতে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ প্রসংশনীয় যা কক্সবাজারে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে।
Related
Leave a Reply