মোহাম্মদ ইউনুছ অভি,স্টাফ রিপোর্টার
কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের দুর্যোগের কবলে সাবরাং ইউনিয়ন, ২নং ওয়ার্ড, হাদুর ছাড়া নৌ-ঘাট এলাকার স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ভাঙ্গন। চলাচল দুর্ভোগ চরমে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে যেকোন মুহুর্তে মেরিন ড্রাইভ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের অগ্রভাগ আঘাত হানতে শুরু করে। মাঝরাতে মূল ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। দ্রুত গতিতে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসলেও টেকনাফে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে গত মধ্য রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তান্ডবে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন,সাবরাং,শাহপরীদ্বীপ জালিয়া পাড়া,দক্ষিণ পাড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে ডুবে গেছে।
অনেকের ঘরবাড়ী,লোকালয়,আমন ধানসহ ফসলি জমিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১,২ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা শাহিনা রহমান বি এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার ১,২ও ৩ নং ওয়ার্ডে মানুষের বাড়িঘর,গাছপালা,রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এবং শাহপরীরদ্বীপ মাঝর পাড়াসহ দক্ষিণ পাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি ঢুকে অনেকের ঘরবাড়িও ডুবে গেছে।
টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুবীর কুমার দত্ত জানান,বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাংয়ের আঘাতে যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য নেওয়ার পর তালিকা চুড়ান্ত করে জেলায় পাঠানো হবে। গতরাত থেকে টেকনাফ সাইক্লোন শেল্টারে যারা রাত্রি যাপন করেছিলো, তাদের সবাইকে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার তৈরি করে প্যাকেটের মাধ্যমে ৫ শ থেকে ৬শ জন কে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ এরফানুল হক চৌধুরী জানান,যেখানে যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সকল তথ্য সংগ্রহ করে আমরা জেলায় পাঠিয়ে দিব। পাশাপাশি মেইন ড্রাইভে যে ভাঙ্গন হয়েছে সে বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছে তারা অতিশীঘ্রই মেরিন ড্রাইভ সংস্কারের কার্যক্রম শুরু করবে।
Related
Leave a Reply