1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
সীমান্তে গোলা পড়ায় মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:০৩ অপরাহ্ন

সীমান্তে গোলা পড়ায় মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ

  • আপলোড সময় : রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২
  • ১০২ জন দেখেছেন
সীমান্তে গোলা পড়ায় মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ

দু’দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গেল দুই মাস ধরে চলা সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশে পড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার। একই সঙ্গে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রোধে একমত পোষণ করেছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে নাফনদ সংলগ্ন সীমান্তে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে বিজিবির নির্মিত ‘সাউদান পয়েন্ট’ এর সম্মেলন কক্ষে দু’দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল তিনটার দিকে।

পাঁচ ঘণ্টা চলা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান দুই বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল শেখ খালিদ ইফতেখার।

তিনি জানান, আজকের বৈঠকে সীমান্তে মিয়ানমার থেকে গোলা পড়ে বাংলাদেশে হতাহতের ঘটনা, মাইন পুতে রাখা, মিয়ানমারের কোনো নাগরিক আর অনুপ্রবেশ না করা, মাদক চোরালান বন্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে কোনো ধরণের গোলা বা মাইন যাতে আমাদের সীমান্তে পুতে রাখা না হয় সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়েছে।

মিয়ানমার প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে বিজিবির এ কর্মকর্তা জানান, তারা এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দু:খ প্রকাশ করেছেন। যা এতোদিন তাদের সঙ্গে হয়নি। একই সঙ্গে সীমান্তে বসবাসরত সাধারন বাসিন্দাদের জানমাল রক্ষায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীরা একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিক মুখোমুখি হন রামু সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আজিজুর রউফ। তিনি জানান, এটি নিয়মিত চলতে থাকবে। বৈঠক হলে দুই দেশের সীমান্তের নানা ঘটনার বিষয়ে আলোচনা সম্ভব হয়। তারই অংশ হিসেবে দীর্ঘ পাঁচ মাস বসা বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। পাশাপাশি ভয়-আতংকে ছিল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, দৌছড়ি, উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের মানুষ। এসব বিষয়ে তাদের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

তিনি আরও জানান, মিয়ানমারের নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরালান ঠেকাতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী একমত পোষণ করেছেন। পাশাপাশি যেকোনো সীমান্ত সমস্যা সমাধানে নিয়মিত পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়।

বৈঠকে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখারের নেতৃত্বে নয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও মিয়ানমার মংডুর ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল কাও না ইয়ান শো-এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এরআগে চলতি মাসের ১০ অক্টোবর (সোমবার) পরিস্থিতি দেখতে সীমান্তে আসেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। সীমান্ত পরিদর্শনের পাশাপাশি দেখেন বিজিবি কার্যক্রম। ওইসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবাদলিপি পাঠানোর পাশাপাশি বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।

বিজিবির মহাপরিচালক আরও জানিয়েছিলেন, সময় নির্ধারণ না হলেও পতাকা বৈঠকে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার।

চলতি বছরের ১ জুন, বিজিবি-বিজিপির সর্বশেষ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাখাইনের মংডু টাউনশিপে। আঞ্চলিক পর্যায়ের অই বৈঠকে চার বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দেয় মিয়ানমার।

প্রসঙ্গত, সীমান্তে উত্তেজনার রেশ শুরু হয় চলতি বছরের আগস্টে। প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ। ২৮ আগস্ট মিয়ানমারে ছোড়া দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। তবে বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি।

সেপ্টেম্বরের শুরুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া আরও দুটি মর্টার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে। একইদিন বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে উড়ে যায় মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান। যার কারণে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ে আতঙ্ক।

১৬ সেপ্টেম্বর  আবারও বাংলাদেশে অভ্যন্তরে এসে পড়ে আরও কয়েকটি মর্টার শেল। যার মধ্যে শূণ্যরেখায় মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়ে মারা যায় এক রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আহত হয় আরও ছয় জন।

তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ বন্ধ হতেই নতুন করে উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে শুরু হয় গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ। তারপর নতুন করে আতঙ্ক শুরু হয় টেকনাফ সীমান্তে। এভাবে সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে চলতে থাকে গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ।

সর্বশেষ চলতি মাসের ২৩ অক্টোবর নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নতুন করে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ। যা দু’দিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকে। তবে এরপর থেকে আর শোনা যায়নি গোলাগুলির শব্দ। সীমান্তে বার বার এমন কর্মকাণ্ডে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ডেকে কয়েক দফায় কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।

ডিসি৭১/22/ইয়াছমিন।

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR
x