নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার শহরের ইসলামাবাদ এলাকায় আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইয়াবা সিন্ডিকেট। নতুনভাবে দলে যোগ দিয়েছে ভূমি দখলবাজ ও ইয়বা ব্যবসায়ীরা।রহস্যজনক কারণে এখানে প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা হয়না।অভিযান করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।
ইয়াবা আবুল কালাম ও সাইফুলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কালো টাকা থাকায় কাউকে পরোয়া করেনা তারা।
সেই একসময়ের ইয়বার ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিল এলাকায়। তবে তার নেয় কোন দৃশ্যমান আয়।অথচ হয়ে গেল কোটি প্রতি।বর্তমানে তারা অন্যের জায়গা জোরপূর্বকভাবে দখল করে রেখেছে এমনটি অভিযোগ উঠেছে। এই জায়গাটির মালিকানায় রয়েছে সোলতান মাহমুদ গ্যং।খতিয়ানি জায়গা জবর দখল করে রেখেছে আবুল কালাম সিন্ডিকেট। তারা পহরি হিসেবে দায়িত্ব ছিল সাইফুলের শশুর।অথচ তাদের জায়গাটি মালিকানা দাবী নিয়ে দখল করে রেখেছে। সোলতান মাহমুদ গ্যং প্রতি বছর খাজনা দিয়ে আসছে ও কাগজ পত্র সঠিক রয়েছে । তবুও অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে আবুল কালাম ও সাইফুল আরো কয়েকজন সদস্যরা।
বর্তমান প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। এই সুযোগে তৎপর হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ছেয়ে ফেলেছেন ইয়াবার মতো ভয়ঙ্কর মাদকের নেটওয়ার্কে। সেখানকার হোটেল-মোটেল জোন ও তার আশপাশ এলাকায় এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা। জানা গেছে, এইসব ইয়াবা বাণিজ্যের কলকাঠি নাড়াচ্ছেন
আবুল কালাম। তাদের বাবার নাম লাল মোহাম্মদ। যে কিনা থানার দালাল হিসেবে পরিচিত। তার একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের প্রধান হল আবুল কালাম। তাদের মধ্যে রয়েছে সাইফুল ইসলাম। যে কিনা একসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল। তার নাম ছিল অনিল দাশ,পিতা,সুদারাম দাশ, হিন্দু থেকে হয়েছে মুসলিম।মুসলিম পরিবারের মেয়ে বিয়ে করে নাম পরিবর্তন করে হয়ে গেল সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি ঘোনার পাড়া হলেও ।বর্তমানে ঝিলংজা
১ নং ওয়ার্ড ইসলামাবাদ এলাকায় বসবাস করে। সেই ওই এলাকার ত্রাস আবুল কালাম সিন্ডিকেট সদস্য। তাদের আরো রয়েছে কয়েকজন সদস্য। বর্তমানে তারা আবারো সক্রিয় হয়ে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করেন।সেই বর্তমানে ইসলামাবাদ একালার রাস্তার মাথায় যে জায়গাতে বাড়ি করেছে সেটি জবরদখল করে।ওখানে গড়ে তুলেছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে এই ব্যবসা রমরমা। তেমনই কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ইয়াবার কারবার বেশি হয় বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দিনদিন সর্বনাশা ইয়াবার প্রসার কতটা বেড়ে চলেছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান বলে দেওয়া সম্ভব নয়। প্রায় প্রতিদিনই শোনা যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবাসহ আটকের খবর। নামমাত্র কিছু সংখ্যক ইয়াবার চালান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। বহনকারীরাই শুধু ধরা পড়ছে। এদের কারো শাস্তি হচ্ছে আবার কেউ কেউ পুলিশের হাত থেকে ছাড়াও পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাঘব বোয়ালরা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তাদের ব্যবসায় বিন্দু পরিমাণ ব্যাঘাত ঘটছে না। এসব কারবার করে রাতারাতি টাকার কুমির বনে গেছেন অনেকে।
এই বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি যেহেতু নতুন দায়িত্ব নিয়েছি তবে তাদের বিষয় টা খতিয়ে দেখবে বলেন প্রতিবেদকে জানান।
Related
Leave a Reply