এরপর যেটি দেখতে হবে, তা হলো যে প্রকল্পে বা ভবনে আপনি ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবছেন, সেই প্রকল্প যথাযথ কর্তৃঅনুমোদিত কি না। রাজধানীতে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে দেখবেন, ভবনটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউক অনুমোদিত কি না। জমির দলিল ঠিক আছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখুন। জমির মালিকানা এবং জমির দখলদার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। ভূমি অফিসে গিয়ে জমির তল্লাশি দিয়ে জমির মালিকানা ও দখলদার সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ যে জমির ওপর আপনার ফ্ল্যাটটি থাকবে, ওই স্থানের জমির দলিলপত্র যাচাই করে নেওয়া ভালো। ওপরের বিষয়গুলোতে সন্তুষ্ট হওয়ার পর দেখতে হবে, যে ফ্ল্যাটটি কিনছেন, সেটির আয়তন ঠিক আছে কি না।
ঋণের বিষয়টি যখন এল, তখন এ বিষয়ে পরিকল্পনা করুন আগে। কত টাকা আপনি বিনিয়োগ করবেন, প্রথমে তার একটি হিসাব করে ফেলুন। তারপর সেই সামর্থ্যের সঙ্গে মিলিয়ে পছন্দের এলাকায় পছন্দের ফ্ল্যাট-প্লট খুঁজুন। যদি আপনার সংগতির সঙ্গে দরদামে না মেলে, তাহলে ফ্ল্যাট বা প্লটের আয়তনের কিছুটা ছাড় দিতে হবে আপনাকে। বর্তমানে ফ্ল্যাট বা প্লট কিনতে দেশের অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিয়ে থাকে। এ ঋণের বিপরীতে ফ্ল্যাট বা প্লটটি বন্ধক রাখতে হয়।
Leave a Reply