উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের
৬নং ওয়ার্ডের ফলিয়াপাড়া রোড হয়ে ৪ কিঃমি ভিতরে দুর্গম এলাকায় এই গ্রামটির অবস্থান।তিনশ পরিবারের বসবাস হলেও পাকা রাস্তা ও এই গ্রামে এখনো পৌঁছায়নি বিদ্যুতের আলো।রয়েছে যথেষ্ট সুপেয় পানির অভাব।নেই কোন বিদ্যালয়, মসজিদ মাদ্রাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিক।
স্থানীয়দের দাবি, তাদের এসব মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে একটি মানববন্ধন করেন।
জানা যায়,২০০০ সাল থেকে এই গ্রামে বসবাস করা শুরু করে মানুষ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের বেশিরভাগ ঘর বাঁশ, কাঠ এবং টিন দিয়ে তৈরি। পানির জন্য ঘরের আশপাশে নেই কোনো নলকূপ।
৭০ বছর বয়সী আব্দুল আজিজ জানান,রাস্তাঘাটসহ এই গ্রামে এখনো বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগেনি।নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্টান পড়াশোনাসহ দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।তবে রাস্তা,বিদ্যুৎ,শিক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক এই দু’চারটি সুযোগ সুবিধা পেলে তাদের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাবে বলে জানান তিনি।
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন,এই গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট কর্মসৃজন প্রকল্প দিয়ে মেরামতের কাজ করা হয়েছে।বিভিন্ন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ সরেজমিনে পরিদর্শনও করে গেছেন,প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে তিন কিঃমি ব্রিক রোডের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান।তবে অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধানে প্রকল্পের জন্য তিনি বিগত সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন।তিনি আরো জানান, বিদ্যুৎ ছাড়া এই গ্রামের উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি উপজেলায় শতভাগ বৈদ্যুতিক সুবিধা দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
Leave a Reply