গত ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হাসাইন্নার টেকের বাসিন্দা ইসমাইলকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগে মামলা করা হয়। ওইদিন রাত দেড়টার দিকে তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। ওই সময় তার ডান পায়ে গুলিও করা হয়।
কক্সবাজারে মোহাম্মদ ইসমাইল নামে এক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে মামলার বাদী ও টেকনাফ থানার তদন্তকারী তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহকারী বেঞ্চকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪। পাশাপাশি ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে এই সংক্রান্ত আদেশের রায় প্রকাশ করে আদালত।
রায়ে বলা হয়, গত ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হাসাইন্নার টেকের বাসিন্দা ইসমাইলকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগে মামলা করা হয়। ওইদিন রাত দেড়টার দিকে তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। ওই সময় তার ডান পায়ে গুলিও করা হয়।
আদালতের প্রকাশিত রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, মাদক ও অস্ত্র জব্দ এবং পুলিশকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করে ইসমাইলকে জেলে পাঠায় পুলিশ।
মামলা চলাকালে বাদী পক্ষের সাক্ষীদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার ও পুলিশকে হত্যাচেষ্টার কোন সত্যতা পায়নি আদালত। গেল ১ ডিসেম্বর ইসমাইলকে নির্দোষ উল্লেখ করে মামলা থেকে খালাস দেয় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ-৪ মোশাররফ হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, ‘বাদী এসআই মাশরুরুল হক, মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ আলম চৌধুরী, এসআই ওমর ফারুখ ও এসআই সরুজ রতন আচার্য্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। আদালত এই চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে সহকারী বেঞ্চকে নির্দেশ দিয়েছে।’
Leave a Reply