রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বেলজিয়ামের রানী মাথিল্ডে

আপলোড সময় : বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
১৪৯ জন দেখেছেন

এম,এস রানা উখিয়া

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বেলজিয়ামের রানী ও জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত মাথিল্ডে।

মঙ্গলবার(৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছালে অভ্যর্থনা জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান,পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম সহ কর্মকর্তাবৃন্দ। তিনি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সড়কপথে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান। এর আগে থেকে কক্সবাজার থেকে উখিয়ার কুতুপালং পর্যন্ত ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। অন্যান্য দিনের তুলনায় যান চলাচল কম ছিল। সাধারণত পথচারীরা হেঁটে গন্তব্যে পৌছেছেন।

রানী মাথিল্ডে সকাল ১১টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে তিনি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা পরিচালিত লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন। প্রথমে ক্যাম্প-৩ এর একটি লার্নিং সেন্টারে গিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।

দুপুরে ব্র্যাক পরিচালিত রোহিঙ্গা মহিলাদের হস্তশিল্প তৈরি কার্যক্রম, উইমেন মার্কেট,গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতাল,বনায়নের সুফল পরিদর্শন , কুশলাদি বিনিময় সহ ক্যাম্পের বাড়ি ঘুরে দেখেন। সফরকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল,শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান সহ উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রানীর সফর নিয়ে বেলজিয়াম ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের।

এদিকে রানীর সফর ঘিরে উখিয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করতে দেখা যায়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী নিজেই সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা বলয় তদারকি করেন। দিনব্যাপী সফর শেষে বিকেলে উখিয়া ত্যাগ করেন রানী মাথিল্ডে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি জারি করা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রানী আসার কথা জানানো হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বেলজিয়ামের রানীকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।