আওলাদ-এ-রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), শাহ্জাদা-এ-গাউসুল আযম, হযরত শাহ্সুফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,”পবিত্র রজব মাস মহিমান্বিত এ কারণে যে, এ মাসের ২৭ তারিখ মহান আল্লাহ্ তায়ালা তার প্রিয় হাবিব, হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে আরশে আজিমে মেহমানে আলা হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে উচ্চ মর্যাদায়, ব্যাপক সংবর্ধনা প্রদান করে সাক্ষাৎ প্রদান করেন। ইসরা ও মিরাজের এ মহাসত্য ঘটনা পবিত্র কুরআনের সূরা নজম ও সূরা ইসরাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলাম প্রচারের ১১তম বছরে এ ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ সংঘটিত হয়। সে বছর প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) এবং পিতৃতুল্য চাচা আবু তালিব (রাঃ) কে অল্প দিনের ব্যবধানে হারালে, তার হৃদয় দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। তখন মহান আল্লাহ্ তার প্রিয় হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর এ দুঃখ-কষ্ট লাঘবের জন্য মহিমান্বিত সাক্ষাতে ধন্য করেন। সে রজনীতে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মসজিদুল হারাম থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে একে একে সাত আসমান অতিক্রম করে সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আল্লাহর এত কাছাকাছি মিলিত হন যে তীর ধনুকের মাঝে যেমন ব্যবধান থাকে না, তাদের মাঝেও কোন ব্যবধান ছিলো না। এমনকি নূরের ফেরেশতাদেরও এত কাছাকাছি যাওয়ার অধিকার বা ক্ষমতা ছিলো না। অর্থাৎ প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন এক বিশেষ ধরনের নূর যা অতুলনীয়। এ মহান সাক্ষাৎ ভালোবাসার এক মহতী নিদর্শন। সৃষ্টিকুলের জন্য এ মিরাজ আনন্দ ও গৌরবের। মিরাজে গমন করে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মতের জন্য নেয়ামত হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নিয়ে আসেন। তিনি জান্নাত, জাহান্নাম পরিদর্শন করে মু’মিনদেরকে সুসংবাদ এবং জাহান্নামীদের সতর্ক করেছেন। তিনি ঊর্ধ্ব গমনের সময় আসমানের প্রতিটি স্তরে এক জন নবী (আঃ) এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি, আল্লাহ্ তায়ালার প্রিয় বান্দারা ইন্তেকালের পরেও জীবিত থাকেন। মিরাজের সাথে ইমানের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মু’মিনরা হযরত সিদ্দিকে আকবর আবু বকর (রাঃ) এর মত এ ঘটনাকে মহাসত্য বলে স্বীকার করবে আর মুনাফিকরা অবিশ্বাসী হবে। বর্তমানে কিছু তথাকথিত আলেম মানুষকে বিভ্রান্ত করতে, মূলত কুরআনকেই অস্বীকার করছে। এদের থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।”
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার মৌলভীবাজারে আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন হায়দার (রঃ) প্রতিষ্ঠিত গাউসিয়া সুন্নী কমপ্লেক্সে ‘শানে রিসালাত সম্মেলন’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথী ছিলেন আলহাজ্ব তৌহিদুল কাদের।
বিশেষ অতিথী ছিলেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ তৌহিদুল কাদের,কক্সবাজার ৭১ দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ বেলালউদদিন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মুফতি মাকসুদুর রহমান, মওলানা আনোয়ার হোসেন,হাফেজ মনসুর আলী, হাফেজ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী, মোঃ নুরূল আবসার ইমনসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
দোজাহানের বাদশাহ্ হুযুরপুর নূর, আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা, প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সম্মানিত আহলে বাইতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাতু সালাম নিবেদন শেষে মাহ্ফিলের সমাপনী মুনাজাতে বিশ্ববাসীর কল্যাণে প্রার্থণা করেন শাহ্সুফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী।
Related
Leave a Reply