জীবিত অবস্থায় দেখতে না এসে যমজ সন্তানদের মৃত্যুর পর দেখতে আসায় কথা কাটাকাটির জেরে শ্বশুরকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে জামাতা।
এতে বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন নিহতের মেয়ে এবং ঘাতকের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার। ঘাতক জামাতা হাকিম উল্লাহ হাসেমকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ জানারঘোনার ফুটখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্বশুর আজিজুল হক একই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, হাকিম উল্লাহ তার শ্বশুর আজিজুল হকের জায়গায় অস্থায়ী ঘর তৈরি করে বাস করে আসছেন। কিছুদিন আগে স্ত্রী যমজ সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের তিন দিন পর এক সন্তান মারা যায়। শুক্রবার সকালে অন্য সন্তানও মারা যায়।
দুপুরে নাতির মৃত্যুর খরব শুনে দেখতে যান আজিজুল হক। এ সময় জায়গা নিয়ে কলহের জেরে শ্বশুর-জামাতার তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে জামাতা হাকিম উল্লাহ শ্বশুরকে ছুরিকাঘাত করে। এতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকেও মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা আহত আজিজুল হক ও সোনিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আজিজুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ জানারঘোনা এলাকার সমাজপতি (সর্দার) আব্দুর রহমান বাবু বলেন, হাকিম উল্লাহ শ্বশুরের মালিকানাধীন জায়গায় ঘর তৈরি করে থাকতেন। শ্বশুর জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে জামাতার সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়দের আরেক পক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এক সপ্তাহ আগে হাকিম যমজ সন্তানের বাবা হন। ওই যমজ সন্তান শুক্রবার ভোরে মারা যায়। সন্তান হওয়ার পর কেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন দেখতে যায়নি। মারা যাওয়ার পর কেন দেখতে গেল এ নিয়ে শ্বশুর ও জামাতার মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
একপর্যায়ে জামাতা হাকিম উল্লাহ হাসেম ঘরে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে শ্বশুরকে উপর্যুপরি আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই ঘাতক হাকিম উল্লাহ হাসেমকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
Leave a Reply