ফলোআপ প্রতিবেদন-
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পর্যটন রাজধানিখ্যাত কক্সবাজার শহরের কলাতলী,হিমছড়ি ও সালসাবীচ পয়েন্টে বিভিন্ন
হোটেল রেষ্টুরেন্টে নিম্মমানের খাবারসহ পচা-বাসি খাবার দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব হোটেলে পচা-বাসি পেঁয়াজ-রসুন, মরিচসহ মসলা ব্যবহার করে এসব দিয়ে রান্না করা খাবার পর্টকদের পরিবেশন করা হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন তরকারিতে কেমিক্যাল দিয়ে সু-স্বাদু ও মুখরোচক খাবার তৈরি করে সরবরাহ করা হচ্ছে এ সব খাবারের হোটেলে।
অভিযোগ রয়েছে এসব হোটেল-রেস্তোরায় রোগাক্রান্ত গরু-ছাগল-মুরগির মাংস প্রতিনিয়ত বিক্রি করা হচ্ছে। লক্ষ্য করা গেছে, এসব হোটেল-রেস্তোরার রান্নাঘর অত্যন্ত নোংরা এবং দূর্গন্ধময়। আর এসব রান্নাঘরেই রান্না করে গ্রাহকদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ভেজাল বিরোধী অভিযান এলে তাৎক্ষনিকভাবে এসব হোটেল-রেস্তোরার এরকম অবস্থার জন্য জরিমানা করার ভয়ে নামকাওয়াস্তে পরিস্কার দেখায়। ভিতরের অবস্থা কিন্তু ভিন্ন রকম।
মাঝে মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে অভিযান পরিচালনা করে হোটেল রেস্তোরাগুলো জরিমানা আদায় করা হলেও থেমে নেই পচা বাসি খাবার বিক্রি ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে
চলতি পর্যটন মৌসুমে টুরিস্টদের নানা অখাদ্য বিক্রি করছে চড়াদামে।
আইন অমান্য করে সালসা বীচ ও কলাতলীর বেশ কিছু হোটেলের অসাধু ব্যবসায়ীরা উন্মুক্ত স্থানে হোটেলের সামনে খাবার তৈরি করে বিক্রি করছে।
বেশ কয়েকজন পর্যটক জানান,বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বেড়াতে এসে খুবই ভাল লাগল। তবে কিছু কিছু হোটেলের খাবার দেখে মনে হয়, যেন মেলা সভার খাবার। আবার টাকা ও নেয় তুলনামূলক বেশী। অপর এক মহিলা পর্যটক প্রতিবেদক কে জানায়, শহরের হোটেল-রেস্তোরায় পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল, পচা-বাসি ও নিম্নমানের খাবার। অপর এক দম্পতি জানায়,খাবারের মান যাই হোক দাম একটু বেশি। এসব তদারকি করা দরকার। কিছু কিছু হোটেলের
অসাস্থ্যকর খাবার খেয়ে
পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে
ভুগছেন অনেক টুরিস্ট।
জানা গেছে, শহরে ছোট-বড় হাটবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় শতশত হোটেল-রেস্তোরা
থাকলেও তার সঠিক সংখ্যা সংরক্ষিত নেই জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে। পৌরসভা কিংবা
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে শুরু করে এর কারবার। এর
মধ্যে বেশিরভাগ হোটেল-রেস্তোঁরার পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর। নোংরা পরিবেশে এসব হোটেল-রেস্তোঁরার ভেজাল ও পচা-বাসি
খাবার বিক্রি হয়ে থাকে। রান্নাঘরের ভেতরে স্যাঁতসেঁতে, ময়লা, দুর্গন্ধপূর্ণ স্থানে রান্না করা খাবার থাকে খোলা। ওই খাবারের মধ্যে প্রায়
সময় পোকা-মাকড়, মশা-মাছি কিংবা এক খাবারের মধ্যে অন্য খাবারের অংশ গিয়ে পড়ে। তা যেন দেখার কেউ নেই। শহরের কলাতলির পর হিমছড়ি ব্লক বীচ ও সালসা পয়েন্টে রেস্তোরাঁ সমুহের আরো নাজুক অবস্থা। এ সব হোটেলে বসে শুধু খাবার গ্রহন করে তা নয়, নেশাজাত দ্রব্য, বিদেশি মদ,বিয়ার, ইয়াবার আসর বসানোর আলাদা জায়গা রয়েছে। নারী পুরুষ মিলে এসব হোটেল রেস্তোরাঁয় মদ খেয়ে আমোদফুর্তি করতে ও দেখা যায়। চলে ইয়াবা বেচাবিক্রি।
এসব পয়েন্ট একটু দুরে হওয়ার ফলে প্রশাসনের ও তেমন চোখ পড়েনা। কয়েকজন হোটেল মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, অনেক হোটেলেই খাবার পরিবেশ স্বাস্থ্য সম্মত রয়েছে। যে সমস্ত হোটেলে নিম্মমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে, সে সমস্ত হোটেলকে জরিমানার আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলে সংযোগ দেয়া যায়নি।
এবিষয়ে জেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
Related
Leave a Reply