নিজস্ব প্রতিবেদক::
কক্সবাজারের রামু দক্ষিণ মিঠাছড়িতে বিভিন্ন স্হানে চলছে নির্বিচারে ফের পাহাড় কাটা। চারদিকে শুধু পাহাড় কর্তন ও মাটি দিয়ে জায়গায় ভরাটের কাজ চলছে। সরকারি আইনকে অমান্য করে সংঘবদ্ধ পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট পাহাড়ের মাটি দিয়ে সরকারি জমি ভরাট করে নির্মাণ করছে পাকা স্হাপনা। এইভাবে নির্বিচারে পাহাড় কর্তনের ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন। পরিদর্শন করে দেখা যায়,বর্তমানে দক্ষিণ মিঠাছড়ির বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকহারে পাহাড় কেটে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।দালান, বাড়িঘর ও দোকান মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করতে হাজার হাজার ফুট মাটি প্রয়োজন। কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি পাহাড় কেটে ভরাট কাজে মাটি যোগান দিচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,দক্ষিণ মিঠাছড়ির পানেরছড়া বিট অফিসের পশ্চিম পাশে বিশাল আকারে উঁচু পাহাড় কেটে পুকুর ভরাট করা হয়ছে।দিনদুপুরে পাহাড় কেটে পুকুর ভরাট করেছে কামাল উদ্দিন নামক একজন।বনবিভাগের নাকের ডগাই প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা হলেও কোনপ্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি পানেরছড়া বিট কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানান, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান তৎপরতা না থাকায় পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে দিবালোকে পাহাড় কেটে মাটি পাচার সহ সরকারি জায়গা ভরাট,পুকুর ভরাট সহ জায়গা দখল করে রাতারাতি স্হাপনা নির্মাণ করছে। ডাম্পার যোগে মাটি পাচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি জায়গা দখল ও পাহাড় কাটা নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি একের পর এক পাহাড় কর্তন করেই যাচ্ছে। বর্তমানে এমন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে যেন প্রশাসন বলতে কেউ নেই। বর্তমানে দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড় কেটে মাটি পাচার,বনভূমি দখল ও ভরাট সহ অবৈধ স্হাপনা গড়ে উঠলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অনেকের অভিমত।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সরকারি পাহাড় গুলো সুরক্ষা করতে অবিলম্বে পাহাড় কর্তন, মাটি পাচার ও সরকারি জমি দখল করে স্হাপনা তৈরী বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
Related
Leave a Reply