রামু সংবাদদাতা:
রামু জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান হাসপাতাল এলাকায় মানুষ হয়ে পশুর মতো ছাগলের খামারে বিষ প্রয়োগে ৮ টি ছাগলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটিয়েছে ৫ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে।জানা যায় মোঃ মাঈন উদ্দিন মামুন হাসপাতাল পাড়ায় ছাগলের খামার করে আসছিল। খামারে ১৯ টি ছাগল ছিল।পার্শ্ববর্তী ব্যক্তি মৃত নুর আহম্মদ এর ছেলে আলী আকবর(৫৫) অপ্রাপ্ত বয়স্ক আরফাজ মিয়া প্রঃ ফারুক(১৭) কে দিয়ে ঐ ছাগলের খামারে বিষ প্রয়োগ করে খামারে থাকা ১৯ টি ছাগলকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে দাবী করেন খামারের মালিক মোঃ মাঈন
উদ্দিন মামুন। গত ২৪ এপ্রিল অপ্রাপ্ত বয়স্ক আরফাজ
মিয়া প্রঃ ফারুক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-
আলী আকবর আমাকে পুষলিয়ে টাকা ও ঈদের নতুন কাপড় দিবে বলে ঐ জঘন্যতম ছাগলের হত্যাকান্ড ঘটাতে বাধ্য করে।ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সকলের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ছাগলের খামারের মালিক মামুন তৎক্ষণাৎ স্থানীয় চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্সকে অবগত করলে চেয়ারম্যান এলাকায় এসে দ্রুত গ্রামীণ শালিসের
ব্যবস্থা নেন।ঐ সুযোগে আলী আকবর সিন্ডিকেট
গ্রামীণ শালিসের তারিখ পেচানোর মাধ্যমে ঘটনাটি
ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।মামুন উক্ত বিষয়টি
জানতে পেরে তখন সে বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পড়ে।
২৬ এপ্রিল প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক
আরফাজ মিয়া প্রঃ ফারুক ও তার মাকে গালিগালাজ, খুন খারাপি,আগুনে পুড়িয়ে মারবে, যেকোন মামলায় জড়াবে বলে হুমকি প্রদান করে,তাই আমি অপ্রাপ্ত বয়স্ক আরফাজ মিয়া প্রঃ ফারুকের মা দিলুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ২৮ এপ্রিল ছাগলের মূল হত্যাকারী আলী আকবরকে বিবাদী করে রামু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।ছাগল খামারের মালিক মামুন ঘটনাটির সবকিছু বিবেচনা করে আলী
আকবর কে ১ নং বিবাদী এবং আরফাজ মিয়া প্রঃ
ফারককে ২ নং বিবাদী করে রামু থানায় লিখিত এজেহার করেন।মামুন জানান আলী আকবর
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের কোনধরনের ক্ষতি
করতে না পেরে আমার স্বপ্নের ছাগলের খামারের
১৯ টি ছাগলকে খাদ্যে বিষ মিশিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে।আমি চাকরী থেকে এসে প্রতিদিনের ন্যায় আমার খামারে গেলে সবকটি ছাগল মাটিতে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় দেখার সাথে সাথে উপজেলা প্রাণী সম্পদের ডাক্তারের চিকিৎসা নিলে ১১ টি ছাগল
প্রাণে বেঁচে যায় এবং ঘটনাস্থলে ৮ টি ছাগল মারা যায়।মামুন আরো জানান ৮ টি ছাগলের আনুমানিক
মূল্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।এখন আমাকে ও
আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসতেছে।এই বিষয়ে রামু থানায় ২৯ এপ্রিল একটা লিখিত এজেহার দাখিল করা হয়েছে এবং বর্তমানে উক্ত মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
Leave a Reply