1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
মুছলেখায় জামিন পেলেন হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন

মুছলেখায় জামিন পেলেন হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস

  • আপলোড সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩
  • ১২২ জন দেখেছেন

হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও চুরির অভিযোগে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সোলতান আহমদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-৪  মামলাটি করেন তিনি। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি (মামলা নং সি আর ২৭২/২০২৩) আমলে নিয়ে চেয়ারম্যান ইমরুলের বিরুদ্ধে ওযারেন্ট ইস্যু করেন। ১৬ মে চেয়ারম্যান ইমরুল কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে ভবিষ্যতে বাদী ও সাক্ষীদের মারধর ও হুমকি প্রদান করা থেকে বিরত থাকার লিখিত মুছলেকা দিয়ে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিষয়টি কলংকজনক বলেও মনে করছেন।

চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরীর ছেলে। মামলার বাদী সোলতান আহমদ একই ইউনিয়নের সাবেক রুমখা জনাব আলী পাড়ার মৃত আলী আহমদের পুত্র বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী সোলতান আহমদ জানান, গত ৯ মে হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌকিদার শাহা আলম ও পুতিয়া এবং অপর একজন চৌকিদার মামলার বাদী সোলতান আহমদকে চেয়ারম্যানের বাড়ী যেতে হবে বলে জোর পূর্বক টমটম গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জমি দখলের কাল্পনিক অভিযোগ তুলে বেদম মারধর করেন। এক পর্যায়ে হাতের লাঠি ভেংগে গেলে চেয়ারম্যান পাশে থাকা লোহার রড দিয়ে মারধর করে। চেয়ারম্যানের মারধরের আঘাতে আমার সমস্ত শরীর রক্তাক্ত ও ফুলা জখম হয়। আঘাতে বাম হাতের অনামিকা আংগুল ও ডান হাতের শাহাদাত আংগুল ভেঙ্গে যায়। চেয়ারম্যানের মারধর সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমাকে উদ্ধার করতে এসে ছেলে ছেলে মোস্তাক আহমদকে (২২)ও মারধর করা হয়। এবং ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাস্থলে আসা লোকজন আমাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যাওয়ার চেষ্টা করলে বাঁধা দেন চেয়ারম্যান। পরে লোকজন চেয়ারম্যানের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ২৭২/২০২৩। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে নির্যাতনকারী চেয়ারম্যান ইমরুলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। এ অবস্থায় গ্রেফতার এড়াতে ইমরুল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত বাদী ও সাক্ষীদের মারধর ও হুমকি প্রদান করবেনা এমন শর্তে লিখিত মুছলেকা দিয়ে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে সমালোচিত হয়ে আছেন ইমরুল কায়েস চৌধুরী। সম্প্রতি মসজিদের এক ইমামকে চাকুরিচ্যুত করে আলোচনায় আসেন ইমরুল কায়েস চৌধুরী। এরআগে হলদিয়া পারং মরিচ্যা বাজারের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী তমিজ সওদাগর উপর হামলা চালান তিনি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুস সোবাহানের মেয়ে শিক্ষিকা তৃপ্তি ও তার স্বামীর উপর পৈশাচিক হামলা ও শ্লীলতা হানি করেছেন বলে অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা জসিম আহমেদ এবং সাইফুল ইসলামের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন চেয়ারম্যান ইমরুল। মরিচ্যা বাজারের কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে খোঁড়া অভিযোগে তুলে এবং মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় এক দশক ধরে চাকুরীরত শিক্ষক মৃদুল বড়ুয়া ও মাওলানা ফরিদুল আলমকে চাকরিচ্যুত করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR
x