‘দি এসেন্স অব তাসাউফ’ গ্রন্থের জন্য যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব সুফি স্কলার্স থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান ও মাইজভান্ডার দরবার শরিফের পীর সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভান্ডারী।
মরক্কোর ঐতিহাসিক শহর গুয়েলমিমে গত ১৭ মে থেকে দশম আন্তর্জাতিক সুফিবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেছেন তিনি। সেখানেই তাকে এ সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের পর একাডেমির শীর্ষ স্কলার গবেষকরা তাকে অভিনন্দন জানান।
এর পাশাপাশি মরক্কোর শেইখ মা আল আইনিন ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স এন্ড হেরিটেজ, মিসরের অর্গানাইজেশন ফর টলারেন্স এন্ড পিস এবং যুক্তরাজ্যের একাডেম অব সুফি স্কলার্স তাসাউফের বাণী প্রচার প্রসারে বহুমুখী অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সাইফুদ্দীন আহমদকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে।
সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ তার রচিত গ্রন্থে কাদরিয়া মাইজভাণ্ডারীয়া তরিকার মানব কল্যাণের দর্শন, একজন মানুষের মহামহিম সর্বশক্তিমান আল্লাহর পথে যাত্রা, আধ্যাত্মিক পথের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানাদিক ও তাসাউফের ঐশ্বর্য অর্জনের জন্য একজন প্রকৃত সুফি শায়খের সান্নিধ্যে গমনের গুরুত্ব অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন।
সম্মেলনের আলোচনায় মূল বিষয় ছিল আধুনিক সমাজ নির্মাণে সুফি তরিকার প্রভাব এবং নিজ দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে সুফিদের করণীয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘দেশের টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ইসলামের মূল নির্যাস সুফিবাদ মানুষের আত্মোন্নয়নে প্রেম ভালোবাসা ও সহাবস্থানের মাধ্যমে সৃষ্টির কল্যাণ নিশ্চিত করে। পরমত সহষ্ণিু, জোরজবরদস্তি না করা, নির্লোভ, নিরঅহংকার, সাদাসিদে, জীবনযাপনই একজন সুফির বৈশিষ্ট্য। সমাজ ও দেশে অকল্যাণের বৈষম্য ও অশুভ প্রতিযোগিতা না থাকলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, মানবঅধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। আর একমাত্র সুফিবাদই তা নিশ্চিত করতে পারে।’
সম্মেলনে তার সফর সঙ্গী ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের নির্বাহি সভাপতি শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী।
আগামী ২৭ মে বিকাল ৫টায় তিনি দশ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
Related
Leave a Reply