নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী ও সঙ্গী-সাথীরা নিজেদের নির্বাচনী অফিসে নিজেরাই আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষ নারিকেল গাছ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ ও তাঁর নেতা-কর্মীদের ফাঁসানোর চক্রান্ত করছেন! এই চক্রান্তের অংশ হিসেবে তারা পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে কর্মরত নারিকেল গাছ প্রতীকের ৩ শতাধিক নির্বাচনী কর্মীর তালিকা করেছেন এবং ওই তালিকা অনুযায়ী তাদের মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে।
এমনটাই অভিযোগ করেছেন নারিকেল গাছ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ। তিনি রোববার রাতে শহরের বিমান বন্দর সড়কস্থ বাসভবন ‘হক-শণে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এই অভিযোগ তুলেন।
তিনি জানান, তারা বিশ^স্থ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন চক্রান্তের খবর জানতে পেরে কক্সবাজার মডেল থানায় ‘পরিস্থিতি’ জানিয়ে সাধারণ ডাইরি জমা দিয়েছেন। একই সাথে পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), কক্সবাজার পুলিশ সুপারসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের উপস্থিতিতে তার পক্ষে ছোট ভাই, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, আমরা বিশ^স্থ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, রাতে (৪ জুন দিবাগত রাত) নিজেরাই নিজেদের নৌকা প্রতীকের একাধিক নির্বাচনী অফিসে আগুন, প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর ও ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ফাঁসানোর জঘন্য চক্রান্ত করছে। এই অপকর্ম ঘটিয়ে ১২টি ওয়ার্ডের আমার ৩ শতাধিক নেতা-কর্মীর তালিকা তৈরি করে মামলা আসামি করার নীলনকশা করে চলেছে। তারা প্রশাসনকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আমার ও আমার নির্বাচনী কর্মীদের ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে তারা আমার কর্মীদের নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।
মাসেদুল হক রাশেদের মতে, নারিকেল গাছ প্রতীকের গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সঙ্গী-সাথীরা আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমার জানা মতে- তারা নির্বাচনের শুরু থেকেই নির্বাচন ক্যু করার চক্রান্ত শুরু করে। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটের রায় তাদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন সুষ্টু নির্বাচনের স্বার্থে শক্ত অবস্থানে থাকায় সেই চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে না পেরে শুরু করে ভিন্ন চক্রান্ত।
তিনি শহরের বাহারছড়া এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, আপনারা দেখেছেন- কয়েকদিন আগে বাহারছড়ায় টাকা বিতরণের মিথ্য তথ্য প্রশাসনকে দিয়ে আমার নারী কর্মীদের পুলিশ দিয়ে আটক ও হয়রানির অপচেষ্টা করা হয়েছিল। মহান আল্লাহর রহমতে সেই চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ায় তারা এখন নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে।
মাসেদুল হক রাশেদের পক্ষে শাহীনুল হক মার্শাল সাংবাদিকদের এসব চক্রান্তের কথা পৌরবাসি ও জাতিকে জানানোর আহবান জানান।
ওই সময় সংবাদ সম্মেলনের সাংবাদিকদের পাশাপাশি নারিকেল গাছ প্রতীকের নির্বাচনী নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply