কাব্য সৌরভ:
১৯৭১ সাল। মুক্তিযুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে বাংলায়। তখনকার টগবগে যুবক শ.ম আব্দুল জব্বার কে ঘরে থাকতে দেয়নি যুদ্ধের দামামা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তারুণ্যের অগ্নিস্ফুলিঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পেরিয়েও এতদিন তার সেই স্বীকৃতি ছিল অধরা।
অবশেষে গত ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত গেজেটের ৫১৫ নম্বরে কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের আঁধারঘোনার বাসিন্দা শ.ম আব্দুল জব্বারের নাম প্রকাশিত হয়। শ.ম আব্দুল জব্বার পেশায় ছিলেন শিক্ষক। অবসর নিয়েছেন কয়েক বছর আগে। জীবনের সোনালী সময় গুলো পার করেছেন শিক্ষকতা আর সমাজসেবার মাধ্যমে। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত গেজেট হাতে পেয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শ.ম আব্দুল জব্বার ও তার পরিবার। এতে খুশি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ.ম আব্দুল জব্বারসহ পরিবারের সদস্য ও তার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শ.ম আব্দুল জব্বারের কনিষ্ঠ সন্তান রায়হান হীরা ফাহিম বলেন, আব্বা যুদ্ধে যাওয়ার গল্পটা মা ও আব্বার মুখ থেকে শুনতাম। বড় আপু ও ভাইয়েরাও প্রায় সময়ে বলতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যখন আব্বা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তখন টগবগে যুবক ছিলেন। পুরো জীবন তিঁনি স্বাধীনতার চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অতিবাহিত করেছেন। যুদ্ধের ৫২ বছর পর আব্বার এই গৌরব-উজ্জ্বল স্বীকৃতিতে আমাদের পরিবারের মুখ উজ্জ্বল হলো। জীবিত অবস্থায় আব্বার এই স্বীকৃতি আব্বার ত্যাগকে উজ্জীবিত করেছে।
রায়হান উদ্দিন সজীব বলেন, স্যারকে আমরা ছোট থাকতে বঙ্গবন্ধু স্যার বলতাম। স্যার ছিলেন দেখতে বঙ্গবন্ধুর মতো। স্যার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এটা শুনতাম, অনেক দেরিতে হলেও স্যারের এই স্বীকৃতি আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একই গেজেটে ৫১৬ নম্বরে রয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। তিনি মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সিডেইল এলাকার বাসিন্দা। তার এই খবরে রাজনৈতিক মহল শুভাকাঙ্ক্ষী এবং এলাকাবাসীরা অনেক আনন্দিত।
Leave a Reply