1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রের ঝনঝনানি : ছয় বছরে ১৫০ খুন,২৮০০ মামলা - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রের ঝনঝনানি : ছয় বছরে ১৫০ খুন,২৮০০ মামলা

  • আপলোড সময় : মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩
  • ৩৮ জন দেখেছেন

বিশ্বের বৃহত্তম কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুধু রাতে নয়, এখন দিনেও রো চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি।

উখিয়া- টেকনাফে ৩৪টি ক্যাম্পেই পরস্পর বিরোধী একাধিক রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই ক্যাম্পগুলোর সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েখুনোখুনি, অপহরণ, গুম, লুটপাট সেখানে এখন স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে।

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী
আশ্রয়শিবিরে
যেন এখন মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি) ও আরএসওর (আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

এই দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা খুন হয়েছেন।

সর্বশেষ শুক্রবার আরএসও গোষ্ঠীর হাতে খুন হন আরসার পাঁচ সদস্য।

এমন পরিস্থিতিতে এই দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের তালিকা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় দেখা গেছে, কক্সবাজারেরেউখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আরসার সদস্যরা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আন্দোলন করছে। এক্ষেত্রে আরএসওর বেশির ভাগ নেতাই প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করছে। এই নিয়ে আরসা ও আরএসওর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছেএ কারণে দুই গ্রুপের মধ্যে খুনোখুনি ও হামলার ঘটনা বেড়ে চলেছে।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতনরা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না দিলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, মানবপাচারসহ গুরুতর অপরাধের সঙ্গে এই দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

আরসার সদস্যরা অস্ত্র ও মাদক চোরাকারবারে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তারা ক্যাম্পের সদস্যের তালিকায় নাম লেখালেও বেশির ভাগ সময় শূন্য রেখায় অবস্থান করে। আবার কিছু সদস্য সাধারণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে।

গত ৬ বছরে বিভিন্ন ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ১৫৫ জন খুন হয়েছে। এসব ঘটনার জের ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। গত ছয় বছরে ২ হাজার আট শতাধিক মামলায় আসামি হয়েছে ৬ হাজার ২২৬ জন ।

এর মধ্যে ১১৫টি হত্যা, ১৮৫টি অস্ত্র, ১ হাজার ৬৩৬টি মাদক, ৮৮টি ধর্ষণ ও ৩৯টি অপহরণ মামলা । সম্প্রতি শূন্য রেখার কাছে একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা নিহত হন আরসার মাদক চোরাকারবারিদের হাতে।

ঐ ঘটনার পর আরসার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা । আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের একটি তালিকা করেছে এই তালিকায় অন্তত ৭০০ জনের নাম রয়েছে যদিও আগে থেকেই সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্যানুযায়ী,২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অন্তত দেড় শতাধিক হত্যাকাণ্ড হয়েছেএর মধ্যে ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর খুন হন স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ ইলিয়াস, ২১ সেপ্টেম্বর খুন হন মোহাম্মদ জাফর নামের এক নেতা (মাঝি)২২ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ এরশাদ নামে এক জন স্বেচ্ছাসেবক খুন হন ঐ বছরের ২২ অক্টোবর ক্যাম্প-১৮-এর একটি মাদ্রাসায় ছয় জনকে হত্যা করা হয় । এর আগে একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর হত্যা করা হয় রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহকে।

২০২২ সালের ৯ আগস্ট দুই রোহিঙ্গা নেতা ও ৮ আগস্ট টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক স্বেচ্ছাসেবক খুন হনঐ বছরের ১ আগস্ট একই ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক জন নেতা মারা যানগত বছরের মে মাসে খুন হন রোহিঙ্গা নেতা সানাউল্লাহ ও সোনা আলীসর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জুলাই আরএসওর হাতে খুন হন আরসার পাঁচ সদস্য।

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR
x