নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :: ঘুষ ছাড়া সেবা মেলেনা কক্সবাজারের পেকুয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসে। পদে পদে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ না দিলে কাঙ্খিত সেবা পাওয়া দুষ্কর। দলিলের নকল তুলতে ঘুষ।
সরকারি নির্ধারিত ফি তিনশত সত্তর টাকার স্থলে নেওয়া হয় ষোল শত টাকা।
অতিরিক্ত এই টাকা আদায় করতে না পারলে দলিলের নকল আটকিয়ে দেন প্রধান সহকারী ও টিসি মোহরার ।
এমন ভুরি ভুরি অভিযোগ ভুক্তভুগীদের। ঘাটে ঘাটে হয়রানি হলেও এসব অভিযোগ আমলে নেয়না সাব রেজিস্ট্রার অমিত মঙ্গল চাকমা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক বলছেন আমাদের কাছ থেকে ষোলশত টাকা নিয়ে নেন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা।
সাধারণ মানুষ থেকে হাতিয়ে নেওয়া ঘুষের টাকার ভাগবাটোয়ারা করেন প্রতি সাপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পকেট ভারি করলেও দেখার যেন কেউ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পেকুয়ার এক দলিল লেখক বলেন, দলিলের নকল তুলতে আমরা মানুষের কাছে থেকে দুই হাজার বা আড়াই হাজার টাক নিই। সেখান থেকে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ষোলশত টাকা দিতে হয়।
সরকারি ফি নির্ধারণ করা থাকলে ষোলশত টাকা না দিলে দলিল কপি দেয়না। যার কারনে আমাদেরও গ্রাহকের কাছে অতিরিক্ত টাকা নিতে হয়। বলতে গেলে আমরা অফিসের কাছে এক প্রকার জিম্মি।
প্রধান সহকারী অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানায়,নিয়মের বাহিরে এক টাকাও বেশি নেওয়া হয়না। যারা অভিযোগ তুলছেন তাঁরা মনগড়া কথা বলছেন।
এবিষয়ে পেকুয়ার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সাব রেজিস্ট্রার অমিত মঙ্গল চাকমা সাংবাদিকদের জানান অফিসে সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply