কাজল কান্তি দে:
সনাতন সম্প্রদায়ের পরম প্রেমময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে স্মরণে ২ দিন ব্যাপি কর্মসূচির প্রথম দিনে গীতাপাঠ, ধর্মীয় বক্তব্য গীতা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর ( মঙ্গলবার) ১ম দিন শুরু হয় প্রতিযোগিতা দিয়ে, এতে উদ্ভোদন করেন কৃষ্ণানন্দ ধাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুলাল চন্দ্র দে ও মঙ্গল প্রদীপ প্রোজ্জ্বলন করেন সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দাশ, এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা জন্মাষ্টমীর উদযাপন পরিয়দের সভাপতি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নাজির স্বপন পাল, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা জন্মাষ্টমীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন। বিজয়ীদের মধ্যে পুরুষ্কার ও সনদ বিতরণের মধ্যে দিয়ে প্রথম অধিবেশন শেষ হয়।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ২য় দিন গোলদিঘীর চত্বরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষে বিকেল ৩ টায় জন্মাষ্টমীর মহা শোভাযাত্রা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। আলোচনায় ধর্মীয় বক্তারা বলেন, সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান জন্মাষ্টমী, এটি বিষ্ণুর অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি।
আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী লক্ষত্র যোগে শ্রী কৃষ্ণ মধুরায় কংসের কারাগারে দেবকীর গর্ভে অষ্টম সন্তান রূপে জন্ম নেন। তাই এই জন্মদিনকে জন্মাষ্টমী বলা হয়। পুরাণ, মহাভারত, ভাগবতের বর্ণনা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা অনুসারে কৃষ্ণের জন্মর খ্রিস্টপূর্ব ৩২২৮ সালে। ১৪৩০ বাংলার ও ইংরেজির ২০২৩ সাল অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯তম জন্মদিন। বিভিন্ন পুরাণ ও প্রাচীন গ্রন্থ মতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর প্রকট লীলাবিলাস করেন। ১২৫ বছর পৃথিবীতে অবস্থান করে যান বৈকুন্ঠে। মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে তিনি পৃথিবী ত্যাগ করে অন্তর্ধান করেন। সেই দিনই কলি প্রবেশ করে। সেই দিন ছিল শুক্রবার। খ্রিস্টপূর্ব ৩১০১ সালে কলিযুগ আরম্ভ হয়। বর্তমান ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। তা হলে কলির বয়স ৩১০১+২০২৩=৫১২৪ বছর। শ্রীকৃষ্ণের অর্ন্তধানের দিন কলির আবির্ভাব। শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর প্রকট লীলা করেছেন। তা হলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ৫১২৪+১২৫=৫২৪৯ বছর পূর্বে হয়েছিল।
Leave a Reply