কক্সবাজার ৭১ ডেষ্ক:
কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ার ছড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ফারজানা আকতার প্রীতি (২২) নামক নারী বিউটিশিয়ানের গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দশটার দিকে তারাবনিয়ার ছড়া মসজিদ রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। সে কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের নুর পাড়ার জয়নাল আবেদীন জুনু’র মেজ মেয়ে। মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। নিহত প্রীতি কক্সবাজার সিটি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেছে। পেশাগতভাবে সে প্ৰসিদ্ধ একজন বিউটিশিয়ান। বাংলাদেশ-ভারত
বিউটিফিকেশন প্রতিযোগিতায় সে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী একজন নারী। ৭ মাস মতো আগে চট্টগ্রামের চুনতির মোঃ আজাদ নামক এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রীতির বিয়ে হয়। তার মৃত্যুর ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে পরিবারসহ এলাকাবাসীকে। স্বামী মোঃ আজাদ শহরের সুগন্ধ পয়েন্টে ঝিনুক-কসমেটিকসের দোকানদার। ভিকটিমের পিতা জয়নাল আবেদীন জুনু বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। শনিবার সকাল দশটায় ঢাকায় ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। সেজন্য তাকে নিয়ে মেয়েসহ শুক্রবার রাত ১১টার গাড়িতে ঢাকা যাওয়ার কথা। প্রস্তুতি কতটুকু হয়েছে জানতে তাকে ফোনে করি। বারবার কল করলেও রিসিভ হচ্ছে না। পরে জামাতা আজাদকে ফোন করি। সে বাসার পৃথক বিউটিফিকেশন কক্ষে গিয়ে দেখে, গলায় ওড়না প্যাচানো অবস্থায় ঝুলছে প্রীতি। স্বামী মোঃ আজাদ বলেন, আমার শ্বশুর ফোন করার পর দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি, প্রীতির গলায় কালো ওড়না প্যাচানো। লাশ ঝুলে আছে। এরপর
দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকি। বেঁচে আছে মনে করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরতা চিকিৎসক তাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আমাদের বিয়ের প্রায় ৭ মাস গত হয়েছে। একটিবারও সামান্য মনোমালিন্য হয় নি। যে কোন কাজ পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে হয়েছে। আমার পৃথিবীর সমস্ত ভালোবাসা প্রীতিকে ঘিরে। সেও আমাকে সেভাবে ভালোবাসতো। কেন এমন ঘটনা ঘটালো, হিসেব মেলাতে পারছি না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, বিয়ের পর সংসারে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, যে কারণে প্রীতিকে আত্মহত্যা করতে হবে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশটি পরিবারের
নিকট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। শনিবার জুহরের নামাজের পর উমিদিয়া মাদরাসা মাঠে মরহুমা ফারজানা আকতার প্রীতির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পিতা জয়নাল আবেদীন জুনু।
Leave a Reply