এম জিয়াবুল হক,চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে জমিতে ধান রোপনকালে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় একটি দখলবাজ চক্র।
এসময় দখলে বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা জমি মালিক মিজানুর রহমান (৪২) ও তার ছোট বোন মুর্শিদা আক্তারকে (২৭) পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ছনুয়াপাড়া এলাকায় ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
এ ঘটনায় আহত জমি মালিক বদরখালী ইউনিয়নের ছনুয়াপাড়া এলাকার মৃত আবদুল হামিদ এর ছেলে মিজানুর রহমান বাদি হয়ে গতকাল চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
এজাহারে একই ইউনিয়নের গোয়াখালী পাড়ার মৃত আবদুল মজিদ এর ছেলে ছৈয়দ নুর, আজম নুর, আহমদ নুর, ওসমান প্রকাশ বদাইয়াকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদি জমি মালিক মিজানুর রহমান বলেন, বদরখালী ছনুয়াপাড়া এলাকায় আমার বসতবাড়ি লাগোয়া সমিতির মালিকানাধীন ৩৪ কড়া জমি আছে। উল্লেখিত জমি আমি উচিতমুল্যে ক্রয়ের পর থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখলে থেকে চাষাবাদ করে আসছি।
সর্বশেষ শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে জমিতে ধান রোপনকালে অভিযুক্ত আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।
এসময় অস্ত্রধারী দখলবাজরা আমাকে চারিদিকে ঘিরে ধরে বেদড়ক পিটিয়ে সর্বশরীরে জখম করে।
এজাহারে বাদি মিজান আরও বলেন, ঘটনার সময় আমার বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন ছোট বোন মুর্শিদা আক্তার।
এসময় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তাঁরা আমার বোনকে ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। একপর্যায়ে দায়ের কোপ তাঁর হাতে লেখে হাড়কাটা জখম হয়।
ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা আমার বোনকে টানা-হেছড়া করে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করেছেন। এসময় বাঁধা দিতে চাইলে তাকে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
তার তলপেটে লোহার রডের আঘাতে সর্বশরীরে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার এজাহারে মিজানুর রহমান জানান, হামলার সময় অভিযুক্ত আসামিরা আমার বোন মুর্শিদা বেগমের গলায় থাকা একভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, বেড়াতে আসার সময় ব্যাগে থাকা পাঁচটি শাড়ি ও তিনটি শার্ট লুট করে নিয়ে গেছে।
এ অবস্থায় জমি মালিক ও তার পরিবার এব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী সহায়তা নিশ্চিতের জন্য চকরিয়া থানার ওসির জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply