1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
ঘূর্ণিঝড় ‌হামুন’র তাণ্ডব, কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫২ অপরাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় ‌হামুন’র তাণ্ডব, কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু

  • আপলোড সময় : বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৫ জন দেখেছেন

কক্সবাজার ৭১ ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবে কক্সবাজারে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডব শুরু হয়। তা প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হয়।

বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে বাতাসের তীব্রতা ছিল খুব বেশি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীতে ঘরের দেয়াল চাপায় আব্দুল খালেক, চকরিয়ার বদরখালীতে গাছ চাপায় আসকর আলী (৫০) ও মহেশখালীতে মাটির দেয়াল চাপা পড়ে একজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান জানান, কক্সবাজার পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকায় রাত সোয়া নয়টার দিকে আধা পাকা ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে আবদুল খালেক (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের কবরস্থান এলাকায় রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘরের সামনের গাছচাপা পড়ে মারা যান হারাধন দে (৪৫) নামের আরেক ব্যক্তি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হক বলেন, গাছ চাপা পড়ে হারাধন মাথায় আঘাত পান। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া গাছ চাপা পড়ে আহত আরও ছয়জনকে হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বাতাসের তোড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

রামু উপজেলার রাজার কল ইউনিয়ের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ  জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে সড়কের ওপর বড় বড় দুটি গাছ ভেঙে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুই দিক থেকে আসা শত শত দূরপাল্লার বাস কয়েক ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রী ও পর্যটকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়।

কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন , সন্ধ্যা সাতটার দিকে পর পর তীব্র বেগে বাতাস শুরু হয়। বাতাসের তাণ্ডব চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এতে ওই এলাকার কয়েকশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরিন ড্রাইভ সড়কে গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শত শত গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়েছে।

তিনি বলেন, এবারের বাতাস যে গতি তা গত ১০ বছরেও আমরা দেখিনি হয়নি। গত বছর ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হেনেছিল তখন জলোচ্ছ্বাস হলেও বাতাসের তীব্রতা এবারের মতো ছিল না।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, বিভিন্ন উপজেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। বিশেষ করে উপকূলীয় উপজেলা মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়ায় ক্ষয়ক্ষতির বেশি আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রাথমিকভাবে নয়টি উপজেলার জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং ১৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লাল পতাকা উঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যটকদের সৈকতে না নামতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের সতর্ক করতে বিচকর্মীরা সেখানে মাইকিং করছেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান, কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় ক্যাম্পের ভেতরে সিআইসি কার্যালয়, পাকা স্থাপনাগুলো প্রস্তুত রাখা হয়। যেন পরিস্থিতি খারাপ হলেই চলে আসতে পারে।

তবে রোহিঙ্গা শিবিরে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান রোহিঙ্গা নেতারা।

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR
x