কক্সবাজার প্রতিনিধি:
উদ্বোধনের অপেক্ষায় কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর উপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই সেতু। খুরুশকুলবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন এখন দৃশ্যমান। সেতুটির নির্মাণ কাজও শেষ। আগামী ১১ নভেম্বর এই সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই সেতুটিতে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্ততি।
কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র তিন মিনিটের দূরত্বে নির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন সেতু ও সড়কটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে দর্শনার্থীরা।
এই সেতু শুধুমাত্র দুই পাড়ের সংযোগ ঘটায়নি, নতুন করে সংযোগ স্থাপন করবে খুরুশকুলের অর্থনীতিতে। বিশিষ্টজনরা বলছেন, উদ্বোধন হলে এই সেতু আর বাঁকখালী নদীর প্রকৃতি ঘিরে হবে কক্সবাজারের নতুন পর্যটন জোন। ১১ নভেম্বর উদ্বোধনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে জেলার সর্বপ্রথম ব্যয়বহুল ও আধুনিক এই সেতু।
এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান জানান,২০১৯ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ সময়সীমার আগেই শেষ হয়েছে।২৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ এই সেতুতে ৩টি ৬৫ মিটার গভীরের স্প্যান এবং ৫০ মিটারের ১০টি স্প্যান রয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের উদ্যোগের ফলে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবারকে খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পে স্থানান্তরিত করছে সরকার। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীসহ খুরুশকুলবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে কস্তুরাঘাটস্থ বিআইডাব্লিউ ভবনের পশ্চিম পাশে নির্মিত হয়েছে খুরুশকুল সেতু।
খুরুশকুলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্পের সাথে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি সেতুটি পুরোপুরি চালু হলে পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
Leave a Reply