হারুনর রশিদ, মাতারবাড়ী থেকে
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহেশখালী উপজেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯১সালে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় হয়ে ব্যাপক মানুষের প্রাণ হানি হয়। তখন গণমাধ্যমে খবর পেয়ে ছুটে আসি অসহায় মানুষের পাশে। ঘূর্ণিঝড়ে এবং বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প করে দিয়েছি। ভূমিহীন দের জন্য ঘর করে দেওয়া চলমান আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বাংলাদেশে একটা মানুষ ও ভূমিহীন থাকবে না। আরো ভূমিহীন থাকলে তাদের ঘর করে দেওয়া হবে।কোন টাকা পয়সা লাগবে না। দেশে এক ইঞ্চি জমিও কেহ অনাবাদি রাখবেন না, যে যা পারেন চাষ করবেন। আমরা আমাদের দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
১৯৯৭ সালেও এঅঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূলের মানুষ জন সমুদ্রের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে। সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধের সময় সরকারি ভাবে সহায়তা দেওয়া হয়। লবণের ন্যার্য মুল্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
দেশের মানুষ যখন বিপদ গ্রস্ত, তখন নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে এসেছি। দেশে এসে দলকে গুছিয়ে আজ এই পর্যন্ত এসেছি। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলে দেশে আজ এতো উন্নয়ন হয়েছে।
বাংলাদেশ কে অনেক দুর এগিয়ে নিয়েছি। প্রত্যাকটি এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্টান করে দিয়েছি, যাতে আপনাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারে মতো এবং বিভিন্ন এলাকায় খেলার মাঠ করে দেওয়া হচ্ছে, যা ছেলে মেয়েরা খেলা দুলা করতে পারে মতো।
আমি বাবা মা ভাই বোন সবাই কে হারিয়েছি। আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম। আমরা দেশে আসতে পারিনি। আমরা এতিম হয়েগেলাম।আপনারাই আমার আপনজন। আমি সব কিছুই হারিয়েছি। আর হারাবার কিছুই নাই। প্রধানমন্তী আবেগ আপ্লোত হয়ে চোখ মুছতে মুছতে
কবির ভাষায় বলেন
রিক্ত আমি সিক্ত আমি দেবার কিছুই নাই,আছে শুধু ভালো বাসা দিয়ে গেলাম তাই। প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান কালে তিনি এসব বলেন।
জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতারবাড়ির আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল, বাঁকখালী নদীর উপর নির্মিত সেতু,সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে জাতীয় গ্রীডে সংযুক্তকরণ, উখিয়ার বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, রামু উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চকরিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনালের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ, কুতুবদিয়া ঠান্ডা চৌকিদার পাড়া আর সি সি গার্ডার ব্রীজ,মহেশখালীর গোরকঘাটা-শাপলাপুরের জনতাবাজার সড়ক, বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি ভরাট, বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প, ঈদগাঁও জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মহেশখালীর ইউনুছখালীর উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়ার রত্না ও মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেছেন।
অন্যদিকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলের ১ম টার্মিনাল, টেকনাফের মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার, রামুর জোয়ারিয়ানালার নন্দা খালী সড়কে আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ,জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ প্রকল্প।
শনিবার বিকাল ৩টার সময় হেলিকপ্টার যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের টাউনশীপ মাঠে অবতরণ করেন এবং বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি ঢাকার উদ্যোশ্যে মাতারবাড়ী ছেড়ে হেলিকপ্টার যোগে চলে যান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ এর সঞ্চালনায় বিশাল জনসভা মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের টাউনশিপ মাঠে শনিবার ১১ নভেম্বর বিকাল ২টার সময় অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্য রাখেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধ আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার -২ আসনের আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ এমপি,
উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
ড.তৌফিক ইলাহী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি,
জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নুরে আলম চৌধুরী লিটন,
কক্সবাজার ৩ আসনের সাইমুম সরওয়ার এমপি, শিক্ষা উপ মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.সিরাজুল মোস্তফা,
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান, চকরিয়া – পেকুয়া আসনের আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলার কৃতী সন্তান বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ড.আনচারুল করিম,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুল হায়দার রোটন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি,শেখ ফজলে নাঈম পরশ,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোছাইনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সকাল থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার এই স্লোগানে স্লোগানে দলে দলে জনসভা স্থলে এসে লোকেলোকারন্য হয়ে জনসভাস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
Related
Leave a Reply