1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
উখিয়া থেকে রোহিঙ্গা নারী নিয়ে জয়পুরহাটে বিয়ে - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
কক্সবাজারে বিচার বিভাগের বিশ্রামাগার উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগি থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন ভাসানচর থেকে দলে দলে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা বান্দরবান-টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তের সন্ত্রাস ঠেকাতে কঠোর হওয়ার তাগিদ উখিয়ার ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক উখিয়া ও টেকনাফ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে জার্মানের তৈরি জি থ্রি রাইফেল, শুটার গান ও ৯২ রাউন্ড রাইফেলের গুলিসহ ৫ জন গ্রেফতার বান্দরবান সদর থেকে কেএনএফের আঞ্চলিক নারী সমন্বয়ক গ্রেপ্তার খুরুশকূলে মৎস্য ঘের থেকে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অভিযান, ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার

উখিয়া থেকে রোহিঙ্গা নারী নিয়ে জয়পুরহাটে বিয়ে

  • আপলোড সময় : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫১ জন দেখেছেন

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার লকইর গ্রামে আয়নাল হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে কক্সবাজারের উখিয়া আশ্রয়শিবিরের এক রোহিঙ্গা নারীর বিয়ে হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের কোনো স্থায়ী বাসিন্দা রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করতে পারবে না। অথচ গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে তারা গোপনে উপজেলার বানদীঘি গ্রামে মামুনুর রশিদের বাড়িতে এ বিয়ে করেন। এরপর থেকে রোহিঙ্গা নারী তার স্বামীর বাড়ি লকইর গ্রামে বসবাস করছেন।

এ খবর এলাকার লোকজন জানলেও তা প্রকাশ পায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতে বানদীঘি গ্রামে গেলেও তাদেরকে আটক না করে সেখান থেকে ফিরে আসে।

সরজমিনে লকইর গ্রামে আয়নালের বাড়ি গিয়ে জানা যায়, প্রায় বছরখানেক আগে বানদীঘি গ্রামে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি হারুনুর রশিদ ও সবুজ মিয়া গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকেন কক্সবাজারের রামু উপজেলাতে। সেখানে পরিচয় হয় আয়েশা বেগম নামের এক রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে। সেই সূত্র ধরে তারা দু’জন যাতায়াত করতেন ওই নারীর বাড়িতে। আয়েশা বেগমের ঘরে ছিল ২১ বছর বয়সের মেয়ে রুমা খাতুন। মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয় তাদের সঙ্গে। সবুজ মিয়ার ছেলের সঙ্গে সাড়ে তিন লাখ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে রুমার বিয়ের কথা পাকা হয়। এরপর রুমার মা আয়েশা বেগম সাড়ে তিন লাখ টাকা সবুজ মিয়ার হাতে দেয়।

গত ৯ জানুয়ারি আয়েশা বেগম মেয়ে রুমাকে নিয়ে তাদের সঙ্গে বানদীঘি গ্রামে আসেন ও হারুনুর রশিদের বাড়িতে ওঠেন। এরপর টাকা নিয়ে সবুজ মিয়া সেখান থেকে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে বিপদে পড়েন হারুনুর রশিদ।

একপর্যায়ে সবুজকে না পেয়ে হারুন আয়েশা বেগম ও তার মেয়ে রুমাকে একই গ্রামে তার ছোট ভাই মামুনুর রশিদের বাড়িতে রাখেন এবং কাবিনের সময় জন্ম সনদের প্রয়োজন তাই পাশ্ববর্তী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে রোহিঙ্গা নারী রুমার নামে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করেন। এরপর একই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের লকইর গ্রামে তার ফুফাত ভাই আব্দুল মোমেনের ছেলে আয়নাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেন।

রোহিঙ্গা নারী রুমার মা আয়েশা বেগম বলেন, আমরা রোহিঙ্গা হলে কি হবে? আমাদের ছেলে-মেয়ের কি বিয়ে হবে না? হারুনুর আমার ধর্ম ভাই। সে সুবাদে সবুজের ছেলের সঙ্গে আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে এসেছি। বিয়ে বাবদ সবুজকে সাড়ে তিন লাখ টাকাও দিয়েছি। এখানে আসার পর আমাদেরকে ফেলে সবুজ পালিয়েছে।

রুমা বলেন, মা ও হারুন মামা আমাকে এখানে এনে স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আমাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন। রুমা আরও বলেন, আমার মত আরও ৩-৪ জন রোহিঙ্গা মেয়ের বিয়ে হয়েছে এই জয়পুরহাটে। কেন আপনারা শুধু আমার দোষ ধরছেন।

আয়নালের চাচা ও সাবেক ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, বলা নেই, কওয়া নেই, গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ আয়নাল বিয়ে করে বউসহ বাড়িতে আসে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সে এক রোহিঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করেছে।

বর আয়নাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা মেয়ে জেনেই বিয়ে করেছি। তবে আইন অনুযায়ী যে রোহিঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করা যাবে না, তা আমার জানা ছিল না।

হারুনুর রশিদ বলেন, রোহিঙ্গা হয়েছে তাতে কি হয়েছে। আমি ওর সকল কাগজপত্র ঠিক করে প্রশাসনসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই এ বিয়ে দিয়েছি। নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নাম-ঠিকানা কিছুই জানাতে চাননি।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পুলিশ পৌঁছার আগে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটি রোহিঙ্গা কি না তা জানা নেই বলে জানান ওসি।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট জজ কোটের আইনজীবী অ্যডভোকেট রায়হান আলী বলেন, ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুসারে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের জন্য নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারে না। এছাড়া আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে, রোহিঙ্গাদের বিয়ে করা যাবে না। এ ঘটনায় তারা দুটি অপরাধ করেছেন।

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

ডাঃ কবীর উদ্দিন আহমদ

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR