আব্দুল আলীম নোবেল:
কক্সবাজার জেলার অতিগুরুত্বপূর্ণ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দুই প্রার্থীই শক্তিশালী হওয়ায় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
নির্বাচন ঘিরে পোস্টার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে কক্সবাজার পৌরসভাসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ ছাড়া হাট-বাজার, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন মহলের আড্ডায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনা। সবার প্রশ্ন একটাই কে হচ্ছেন সদর উপজেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান।
নির্বাচন ঘিরে কক্সবাজার পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গণসংযোগের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
তবে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত সহ অন্য দলের নেতারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় নেই।
জানা গেছে, আসন্ন কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থী লড়ছেন।
একজন হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান আর অপরজন হলেন কক্সবাজার পৌরসভার চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার। এ নির্বাচন ঘিরে শুরুতে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষে তিনজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আগামী ৮ মে, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দলের নেতা-কর্মী ও ভোটারেরা জানান, শুরুর দিকে মুজিবুর রহমানের অবস্থান ভালোই ছিল।কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো, স্থানীয় সাংসদ,পৌর মেয়র, প্রভাবশালী এ কে এম মোজাম্মেল হক পরিবার এবং আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে দুরত্বের কারণে মারাত্বক বেকায়দায় রয়েছেন তিনি।
এ কারণে তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় তেমন কেউ নেই বললেই চলে। এছাড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করা এটি তার জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা। সবদিক বিববেচনায় মুজিবুর রহমান ভোটের মাঠে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন।
তবে ?বিপরীত চিত্র পৌরসভার চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের। তার পক্ষে জোর প্রচারণা চলছেই। তাঁর হয়ে মাঠে নেমেছেন কক্সবাজার পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমসহ জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী ও সুশীলসমাজ।
এছাড়া নুরুল আবছারের রয়েছে ২০০০ সালের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি কক্সবাজার পৌর এলাকায় তার রয়েছে ১০ হাজারের অধিক নিরব ভোট ব্যাংক। সবদিক বিবেচনায় এ নির্বাচনে ভোটের মাঠে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে তাকে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী, কক্সবাজার পৌরসভার চারবার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান, জনবান্ধব নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারের (মোটর সাইকেল প্রতীক) মাঠের জরিপে ভোট যুদ্ধ এগিয়ে রয়েছে খবর পাওয়া গেছে, অপর দিকে অধ্যাপিকা রুমানা আক্তার ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনেক বেশি রয়েছে বলে জানান ভোটারারা।
ভোট হলো পবিত্র আমানত। ভোটের সময় নানা কৌশলে এই আমানত নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর দুনীর্তিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়েছে অনেক জনপ্রতিনিধি। ভোটারদের বিশ্বাসের সাথে করা হয়েছে ছিনিমিনি। তাই এবার কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে সাবেক চার বারের পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারকে নিরাপদ ভাবছেন সাধারণ ভোটারেরা।
ভোটারদের অভিমত, নির্বাচনের ভোটের জন্য সবাই আকুতি-মিনতি করে। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর সবাই ভুলে যায়। উল্টো সাধারণ মানুষ তাদের কাছে অনেকটা অনিরাপদ হয়ে উঠে। তবে নুরুল আবছার একজন পরীক্ষিত যোদ্ধা। তিনি শুধু কক্সবাজার নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ।
ইতোমধ্যে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছার। এসময় মানুষের ভালবাসায় তিনি আপ্লূত হন। অনেকেই দোকান ও বাড়ি থেকে সাদাসিধে নুরুল আবছারকে এক পলক দেখতে ছুঁটে আসেন। বুকে জড়িয়ে আপন করে নেয় এই প্রিয় নেতাকে। অনেক মানুষ নুরুল আবছারের ত্যাগ ও উপকারের কথা আবেগপ্রবণ হয়ে তুলে ধরেন।
গণসংযোগ শেষে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হলো মানুষের স্বপ্নের নবায়ন। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে। তাই বলে অতি উৎসাহী হয়ে পরস্পর কাঁদা ছুড়াছুঁড়ি কোনভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচিত হলে সদর উপজেলায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হবে। খেদমত করা হবে দ্বীন ও মানুষের।’
Leave a Reply