1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি আশিক গ্রেপ্তার (ভিডিও) - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি আশিক গ্রেপ্তার (ভিডিও)

  • আপলোড সময় : রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৪১ জন দেখেছেন

কক্সবাজার ৭১ ডেস্ক:

কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে (২৯) মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান জানান, ঘটনার পর আশিক কক্সবাজার থেকে মাদারীপুরে এসে আত্মগোপন করে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিকের (২৯) নানা অপরাধের ফিরিস্তি বের হতে শুরু করেছে।

কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক ১নং ওয়ার্ড কমিশনার সমকালকে জানিয়েছেন, পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের মধ্যম বাহারছড়ার আশিকুল ইসলাম আশিক পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

কক্সবাজার শহরের কলাতলী কটেজ জোনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর কারাগার থেকে বেরিয়ে আশিক আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। গত ২৪ নভেম্বর এক হোটেল মালিককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সে ৬০ হাজার টাকা আদায় করে। পরদিন আরেক কটেজ মালিককে জিম্মি করে এক লাখ টাকা লুট করে আশিক ও তার সঙ্গীরা।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কটেজ জোনের এক ব্যবসায়ী বলেন, আশিক যেসব কটেজে লুটপাট-ছিনতাই করে, সেসব হোটেল বা কটেজে দেহব্যবসা চলে। এ কারণে হোটেল মালিকরা আইনের আশ্রয় নেন না।

সন্ত্রাসী আশিকের বিরুদ্ধে যত মামলা

কক্সবাজার জেলা পুলিশ জানিয়েছে, কিশোর বয়সেই অপরাধ জগতে পা রাখে আশিক। ২০১১ সালের ২০ আগস্টে তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মারামারি আইনে প্রথম মামলা হয়। এর ১০ মাস পর ২০১২ সালের ২০ জুলাই একই থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি একই ধারায় আরেকটি মামলা, একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ডাকাতির চেষ্টার দায়ে একটি, অস্ত্র আইনে একটি এবং হত্যা প্রচেষ্টার দায়ে আরেকটি মামলা হয়।

২০১৫ সালের মার্চে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। ওই বছরের নভেম্বরে অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। ওই মাসেই ডাকাতির মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে। এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডাকাতি আইনে আবারও মামলা হয়। ওই বছরের অক্টোবরে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে এই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।

গত জুনে আশিকের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়। নভেম্বরে হয়েছে ডাকাতি মামলা। সর্বশেষ ২৩ ডিসেম্বর গৃহবধূকে ধর্ষণে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী

গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকের গ্রুপে রয়েছে ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী। তাদের মধ্যে অন্যতম বাহারছড়ার মোবারক, ফাহিম, বাবু, মেহেদী হাসান বাবু, ইস্রাফিল জয়াসহ আরও কয়েকজন। কক্সবাজার পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নাছিমা আকতার বলেন, আশিক ও তার বন্ধুরা বাহারছড়াসহ আশপাশের এলাকার আতঙ্ক। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। তারা শহরে ইয়াবা কারবারে যুক্ত।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি মুনীর উল গীয়াস বলেন, গত ৭ নভেম্বর তাকে একটি ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যম কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ১৫ নভেম্বর সে জামিনে বের হয়ে আসে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, অনেক সন্ত্রাসীকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জামিনে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যায় না।

কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ: গ্রেপ্তার আরও ৩

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে বেড়াতে যাওয়া এক নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে টুরিস্ট পুলিশ। তবে, তারা কেউ এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন।

আজ রোববার এবং গতকাল রাতে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ৩ আসামি হলেন- রেজাউল করিম সাহাবুদ্দীন (২৫), মেহেদী হাসান (২১) ও মামুনুর রশীদ (২৮)।

রবিবার দুপুর ২টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে টুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দীন।

তিনি বলেন, ‘মামলার তদন্তের সময় বিজ্ঞ আদালতে দেওয়া ওই নারীর জবানবন্দি এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে গ্রেপ্তার ৩ জন এ ঘটনায় জড়িত ছিলো।’

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ওই নারীর স্বামী ৪ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩ জনসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন জানান, শুক্রবার রাতে ঘটনার ব্যাপারে ভুক্তভোগী নারী কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ডিইস৭১/এমইউনয়ন

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR
x