1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
উখিয়া-টেকনাফে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছঃ ভোক্তাদের নাভিশ্বাস - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

উখিয়া-টেকনাফে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছঃ ভোক্তাদের নাভিশ্বাস

  • আপলোড সময় : মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১২১ জন দেখেছেন
মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ:
দেশের দক্ষিণ সীমান্ত উপজেলা উখিয়া টেকনাফ রোহিঙ্গা অধ্যুশিত এলাকা। নতুন ও পুরাতন মিলে ১২ লাখের বেশী রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ৩২ ক্যাম্পে অবস্থান করছে। সেই সাথে এ দুই উপজেলায় ৬ লাখ বাংলাদেশী নাগরিকসহ মোট ১৮ লাখ মানুষের বসবাস। যা জনসংখ্যার বি¯েফারণে পরিনত হয়েছে। বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আজ ৬ লাখ স্থানীয় মানুষের ঘাড়ে জগদ্ধল পাথরের ন্যায় চেপে বসেছে। যার কারণে নিত্যপণ্যের সংকট এবং দাম বাড়ছে। এ নিয়ে স্থানীয় অসহায় জনগোষ্ঠী বিষন্নতায় ভোগছেন। মানবতার দোহায় দিয়ে এতো বিশাল রোহিঙ্গা এদেশের দক্ষিণাঞ্চলে আসার পর নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যাহা স্থানীয় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এমতাবস্থায় স্থানীয়দের মতে রোহিঙ্গা একটি বিশফোড়া এবং ভবিষ্যৎ   প্রজম্মের জন্য একটি অভিশাপ বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয়দের বরাদ্ধের নিত্যপণ্যদি রোহিঙ্গাদের পেটে চলে যাচ্ছে। পণ্যের চাহিদার তুলনায় সরবারহ বেশী থাকায় এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কৃষি ও পাহাড়ী জমিতে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এবং বসবাসের কারণে শাক শবজির উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। আশ্রিত সংরক্ষিত ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা লোকালয়ে স্বল্পমূল্যে মজুরী শেষে স্থানীয় বাজার থেকে নিত্যপণ্য ক্রয় করে নিয়ে যায়। এছাড়া পাইকারী দোকান ও আড়তদার থেকে রোহিঙ্গা দোকানের জন্য নিত্যপণ্য মালামাল ক্রয় করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। স্থানীয় ছোট বড় বাজার এখন রোহিঙ্গাদের দখলে চলে যাওয়ায় নিত্যপণ্য সংকট, চাহিদা ও সরবারহ বাড়ছে। এ কারণে স্থানীয়রা ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন পণ্যাদি আমদানি হলেও এর তেমন প্রভাব পড়েনী এ দুই রোহিঙ্গা অধ্যুশিত এলাকায়। টেকনাফ ষ্টেশান থেকে প্রতিদিন ছাদের গাড়ী ও সিএনজি রোহিঙ্গাদের অবাধ যাতায়াত বাড়ছে এবং  নিয়ে যাচ্ছে, নিত্যপণ্যাদী। সড়ক পথে বিভিন্ন সংস্থার চেকপোষ্ট থাকলেও এদের বেদ করে কৌশলে রোহিঙ্গারা চলে আসে। বাহারছড়া, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্ব স্ব ওয়ার্ডের মেম্বারেরা এ প্রতিবেদকে জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো আমাদের ইউনিয়নে বা ওয়ার্ডে স্থাপিত হওয়ায় স্থানীয়দের যথেষ্ট ক্ষতি এবং শ্রম বাজার রোহিঙ্গাদের দখলে  ও স্থানীয় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হয়ে চুরি, ডাকাতি, চিনতায়, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে এলাকাবাসি আজ তাদের অত্যচারে ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ।

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR
x