নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের লালদীঘিপাড়স্থ হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিং মালিক শহর আলীসহ ৬জন কারাগারে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেব এই আদেশ দিয়েছেন।
কারাগারে পাঠানো আসামীরা হলেন, কক্সবাজার শহরের টেকপাড়াস্থ কালুর দোকান এলাকার মৃত আহসান উল্লাহর ছেলে আহসান বোর্ডিং এর মালিক শহর আলী, শহর আলীর ছেলে মো. আলী তোফা ওরফে বাবু, আহসান বোর্ডিং এর ম্যানেজার রায়হান, ঈদগাঁও পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর আব্দুল গফ্ফারের ছেলে মো. আব্বাস, একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে পাঁচতারা হোটেলের কেয়ারটেকার মো. রুস্তম ও চকরিয়া হাইদারনাসি এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে পাঁচতারা হোটেলের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে ২৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামীসহ মোট ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। যার মামলা নং-জিআর-৭৫৩।
এজাহার আরও জানা গেছে, শহরের লালদীঘিরপাড় পাঁচতারকা হোটেল ও আহসান বোর্ডিং এ পতিতালয় খুলে ব্যবসা করার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২১ খদ্দের-পতিতাকে আটক করা হয়। আটক ও পলাতকদের বিরুদ্ধে পতিতালয় পরিচালনা, পতিতাবৃত্তি ও সহায়তা করার অপরাধ এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার মামলা নং-৪৬, তারিখ-২৮/১২/২০২১ইং। মামলার বাদী করা হয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই সানা উল্লাহ ও তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই মাজেদুল হককে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচারের দায়ের করা মামলা হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিং মালিক শহর আলী বিরুদ্ধে মাদকসহ একাদিক বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এর আগে শহর আলী ও মো. রুস্তম বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ ১০/১২টি বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এছাড়া লালদীঘির পাড়ের পাঁচতারা হোটেলসহ ৫টি হোটেলের বিরুদ্ধে আদালতে পতিতাবৃত্তির দায়ে মামলা হলেও এসব হোটেল মালিকরা উচ্চ আদাল থেকে জামিন নিয়ে আবার পতিতাবৃত্তির ও মানবপাচার করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব পতিতালয়ের মালিকদের দ্রুত আটক করতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রফিক জানিয়েছেন, এই হামলার ঘটনায় শহর আলীসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন কক্সবাজার সদর থানা। এই মামলার উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন শহর আলীসহ ৬জন।
এর মধ্যে ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হলে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
Leave a Reply