1. coxsbazarekattorbd@gmail.com : Cox's Bazar Ekattor : Cox's Bazar Ekattor
  2. coxsekttornews@gmail.com : Balal Uddin : Balal Uddin
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: প্রধান আসামি আশিষ চৌধুরী গ্রেফতার - Cox's Bazar Ekattor | দৈনিক কক্সবাজার একাত্তর
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: প্রধান আসামি আশিষ চৌধুরী গ্রেফতার

  • আপলোড সময় : বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৩৩ জন দেখেছেন

৭১ অনলাইন ডেস্ক ঃ

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাসাটিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুই নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আশিষ রায়ের বাসায় বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশি মদের প্রচুর বোতল পাওয়া গেছে। দামি দামি এসব মদের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে আশিষ বাসায় মিনি বার গড়ে তুলেছেন। তার এই মিনি বার থেকে প্রায় ১৯-২০টি দেশী-বিদেশি নানা ব্র্যান্ডের মদের বোতল জব্দ করা হয়েছে। নিজের মিনি বারে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে নিয়মিত মদের আসর বসাতেন গ্রেপ্তার আশিষ।

এছাড়া তার মিনি বারে শিশা সেবনের নানা উপকরণও পাওয়া গেছে বলে র‍্যাবের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

দীর্ঘ ২৪ বছর পূর্বের চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তারে গুলশানের একটি বাসা ঘিরে রাখে র‍্যাব। পরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল ও র‍্যাব-১০ এ অভিযান শুরু করে।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ভালোবেসে বিয়ে করেন ওই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতিকে। বিয়ের কিছু দিন পর তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ওই সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সোহেল চৌধুরী। জড়িয়ে পড়েন নেশার জগতে। সেই অন্ধকার জগতের অপরাধীদের সঙ্গে শুরু হয় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বের রেশ ধরেই খুন হন সোহেল চৌধুরী।

বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন—আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল।

গত ২০ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য দুই আসামি হলেন—ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান। জামিনে থাকা এই তিন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত রোববার এই মামলায় সাক্ষ্য শুরুর দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী আদালতে হাজির হননি। তাই তার বিরুদ্ধেও অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৪ মার্চ দিন ধার্য করেন।

আসামিদের মধ্যে তারিক সাঈদ মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন কারাগারে থাকলেও তাকে হাজির করা হয়নি। এছাড়া জামিনে থাকা দুই আসামি আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি দুই আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী শুরু থেকেই পতালক।

মামলাটি উচ্চ আদালতের আদেশে দীর্ঘদিন বিচার কাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। প্রত্যাহারের সেই আদেশসহ মামলার নথি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে আসে।

শেয়ার করতে পারেন খবরটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো বিভিন্ন খবর দেখুন

Sidebar Ads

© All rights reserved © 2015 Dainik Cox's Bazar Ekattor
Theme Customized By MonsuR
x