স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া-পেকুয়া:
পেকুয়া স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে হাজেরা বেগম নামে এক গৃহবধুর আতœহননের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে সদর ইউনিয়নের বকসু চৌকিদার পাড়া এলাকার আবদু রহিমের বাড়িতে।আত্মহননকারী গৃহবধু হলেন একই এলাকার আবদু রহিমের ছেলে খোকনের স্ত্রী ও উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের জালিয়াকাটা এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে হাজেরা বেগম (২০)। স্থানীয়রা জানান দুই বছর আগে বিয়ে হয় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বকসু চৌকিদার পাড়ার আবদু রহিমের ছেলে মুহাম্মদ খোকনের সাথে। প্রতিবেশিরা আরো জানান গতকাল শনিবার স্বামীর কাছ থেকে হাত খরচের টাকা চায় স্ত্রী হাজেরা বেগম। টাকা না দেওয়ায় স্বামীর সাথে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে স্বামী মারধর করেন স্ত্রীকে। মারধরের অপমান সইতে না পেরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন ও পুলিশে খবর দেন। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। গৃহবধুর পিতা বাদশার দাবী তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছ। হাজেরার পিতা বাদশা মিয়া আরো বলেন, আমার মেয়েকে মারধর করেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। মারধরে গুরুতর আহত হলে তারাই মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ডাক্তার দেখে আমার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামী ও আত্বীয় স্বজন সবার অগোচরে তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।এরপর নাটক করতে স্থানীয়দের ডেকে আনেন তারা। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছি এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এদিকে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর স্বামী ও তার পিতাসহ আত্বীয় স্বজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও তাদের কাউকে পায়নি। পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম বলেন, পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। যেহেতু স্বামীর পরিবার পালিয়ে গেছে তাই ঘটনািিটর সঠিক ও নিবিড়ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply