অনলাইন ডেস্ক:
রাউজান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী জমির উদ্দিন পারভেজ ও সকল কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় এবং মেয়র ও ১২ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থী না থাকায় একক প্রার্থী হিসেবে তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পর উপজেলা রিটার্নিং অফিসার জোনায়েদ কবীর সোহাগের কার্যালয় থেকে স্ব স্ব পদে বিনাভোটে জয়লাভের চিঠি গ্রহণ করেন মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ।
এ নিয়ে টানা দুইবার কাউন্সিলর পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলো এ পৌরসভার সকল আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা। গত নির্বাচনে শুধু মেয়র পদে এ পৌরসভায় ভোট হয়েছিল। এবার মেয়রসহ সকল কাউন্সিলর পদে কোনো ভোট গ্রহণের প্রয়োজন পড়েনি।
বৃহস্পতিবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচিতদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলেন। এবার শুধুমাত্র মেয়র পদে ও ৯নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নতুন মুখ এসেছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ নৌকা প্রতীক পেয়ে এবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় সেই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থন পেয়ে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন তার (মেয়রের) বড় ভাই জসিম উদ্দিন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, ‘রাউজান এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে একটি সুশৃঙ্খল এলাকা। এখানে কেন্দ্র এবং স্থানীয় দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যান না। তাছাড়া আমরা নির্বাচন করতে চাইলেও প্রতিপক্ষ বিএনপি বা অন্য কোনো দল এখানে মনোনয়নপত্র দেননি। এ কারণে এখানে ভোট হয়নি।’
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হওয়ার তারিখ ছিল। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও আবু জাফর চৌধুরী তার ফরমটি শেষদিনে জমা দেননি। ১২ কাউন্সিলর পদে শুধুমাত্র ৬নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী বিকাশ দাশ মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাচাইয়ে সেটি বাতিল হয়।
Leave a Reply