বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

পরীক্ষামূলকভাবে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি ৩৩ কেভি লাইনের বিদ্যুৎ চালু

জাহাঙ্গীর আলম কাজল,নাইক্ষ্যংছড়ি,বান্দরবান:
লোডশেডিং এর কবলে পড়া পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়ায় বিদ্যুৎ এর ভোল্টেজ ও লোডশেডিং এর অবসান হলো। রামু-নাইক্ষ্যংছড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ এর লাইন । দূর হলো দু’উপজেলার লক্ষাধিক পাহাড়ি-বাঙ্গালির দীর্ঘ র্দিনের কষ্ট ।
সূত্র জানান,নাইক্ষ্যংছড়ির ৩৩ কেভি লাইনের নতুন সাব-স্টেশনটি স্থাপন হয় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের বিছামারা এলাকায়। এটা স্থাপন হতে ব্যয় করতে প্রায় ৪ কোটি টাকা।
রামু বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানান, এতো দিন বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষ কষ্ট পেয়েছিলেন নানা জটিলতার কারনে। এখন সে টি কেটে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় সবাইকে বিদ্যৃতের আওতায় নিয়ে আসা । যার বাস্তবায়ন হলো ।
এরই ধারাবাহিকতায় চালু হলো এ সাব-স্টেশনটি।
ককসবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গনি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির এ সাব কেন্দ্রটির এক পাশে ৩৩ কেভি অপর পাশে ১১ কেভির বিদ্যুৎ এর লাইন স্থাপিত আছে। যা আগে রামু থেকে ভায়া হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর গজর্নিয়া এলাকা বিতরণ করা হতো।
তিন পার্বত্য জেলা বিদ্যূৎ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী উজ্বল বড়ুয়া বলেন,সরকার জনগনের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে কঠোর্ পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাব-স্টেশনটি ২৬ নভেম্বর বাদে জুমা থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছে ।
কয়েক দিন হয়ত সামান্য সমস্য দেখা দিলেও ক’দিন পর সব ঠিক হয়ে যা্ব।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,তিন পার্বত্য জেলা বিদ্যূৎ উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো:সাইফুর রহমান,চট্টগ্রামের-৩ এর এনার্জি এডিটিং ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল আহসান,ঢাকাস্থ কেন্দ্রিয় মেরামত কারখানা তত্বাবধাক প্র্রকৌশলী হারুনর রশিদ, ঢাকার সিস্টেম প্রটেক্শন এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জান্নাতুন নাঈম,ঢাকা ডিজাইন ও নকশা-২ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রুহিন আফরোজ, রামু বিদ্যূৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী এম. এম মঈনুল ইসলাম বলেন,এতো দিন তিন কারণে এ সমস্যা হচ্ছিল ।১.৩৩ কেভি লাইনের বিদ্যুৎ এর কাজ চলমান ছিলো এখন আর নেই, চালু হয়ে গেলো শুক্রবার বিকেলে ২.চাকঢালা বিদ্যুৎ লাইনে সংস্কার কাজ চলছিলো এটি শেষ ৩.সর্বশেষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় গর্জনিয়া মাঝিরকাটা গ্রামে বিদ্যূতায়নের কাজ চরমান থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো তবে এ অবস্থার উন্নতি হয়ে গেছে পূর্ব ঘোষনা মোতাবেক। সমস্যা আর নেই।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানান, গত ১ বছর ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি,কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়াসহ আশপাশের এলায়ায় বিদ্যুতের ভোল্টেজ ও লোডশেডিং ছিলো ভয়াবহ।
বিজিবি ব্যাটালিয়ন জোন ,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ,ব্যবসা সেক্টর,শিক্ষা প্রতিষ্টান,সীমান্ত চৌকি,কয়েকটি হাট-বাজার সহ অতি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর গুলোর অবস্থা যা কাহিল ছিলো তা আর থাকলো না । শিক্ষার্থীদের কষ্ট দূর হলো। গৃহিণীরা নাভিশ্বাস আর ফেলতে হবে না । সবাই খুশি বিদ্যুৎ এর দীর্ঘ দিনের সমস্যা দূর হওয়ায়।
এ বিষয়ে রামু বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ হোসেন বলেন,তিনি এ ব্লকের(ফিডার) দায়িত্বে আছেন। এখন সমস্যা আর নেই। গ্রাহকরা নাগরিক সেবা পাবেন এখন থেকে। উল্লেখ্য, এ ব্লকে (ফিডারে) বিদ্যূৎ গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ৩ হাজারাধিক।
যারা বিদ্যূৎ সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *