শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুরুশকুল তেতৈয়া এলাকা সহ আশপাশের এলাকায় বেশির ভাগ পাহাড় কেটেছে কাজী দিদার। স্থানীয় পরিচয় তিনি যুবলীগ নেতা তবে তেতৈয়া এলাকাকে সবাইকে তাকে মাটি দিদার হিসাবে চিনে। কারন কোথাও মাটি ভরাট করার প্রয়োজন হলেও ডাক পড়ে দিদারের। গত কয়েক দিন ধরে খুরুশকুল ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রাম তেতৈয়াতে গিয়ে দেখা গেছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ডাম্পার আসে পাহাড়ি মাটি ভর্তি করে। অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বিশাল কয়েকটি পাহাড় থেকে আসছে এসব মাটি সেখানে গিয়ে গাড়ীর চালক সহ স্থানীয় কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলেও তারা অপকটে স্বীকার করেন মাটি কাটছে কাজী দিদার। আপনাদের মাটি লাগলে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এ সময় ফোন নাম্বার নিয়ে কয়েকবার চেস্টা করলেও ফোন রিসিভ হয়নি। স্থানীয়দের দাবী কাজী দিদার স্থানীয় যুবলীগ নেতা,গত ১ বছরে অন্তত ৫০০ ট্রাক মাটি এখান থেকে বিক্রি করেছে। প্রতিটি গাড়ীর মাটি আগে এক হাজার টাকা নিলেও এখন তা ১৭০০/১৮০০ টাকা নেয়। এ সময় গাড়ী চালক জাহাঙ্গির নামের একজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা কাজী দিদার থেকে মাটি নেয়,অনেক সময় তিনি নিজে কন্ট্রাক নেয় আবার অনেক সময় গাড়ী চালকরা কন্ট্রাক নেয়। তবে মাটির কোন সমস্যা নেই অনায়াসে পাহাড় কেটে মাটি নেওয়া যায়। এ সময় পার্শবর্তী রশিদ মিয়া নামের আরো একজন পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে বলে জানান তারা। ডাম্পার চালকের দাবী মাটি কাটছে ভাল কিন্তু এর ভাগ সবাই নেয়। বন বিভাগ,পরিবেশ অধিদপ্তর,এমনকি সাংবাদিকরাও এর ভাগ নেয় বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের কর্মকর্তা আতাএলাহীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,খুরুশকুলে বেশ কয়েকজন পাহাড়কেখো সিন্ডিকেট আছে। তাদের নামের ইতি মধ্যে মামলাও হয়েছে,আরো কেউ থাকলে অবশ্যই আইনগন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন,কক্সবাজারে আসার পর থেকে পাহাড় এবং মাটি কাটার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযান হয়েছে,এর মধ্যে খুরুশকুলের ব্যাপারে অনেক অভিযোগ শুনা যায়। বিষয়টি দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের বলবো। এদিকে তেতৈয়ার স্থানীয়দের দাবী দ্রæত কঠোর ব্যবস্থা না নিলে অল্প যে কিছু পাহাড় আছে তাও রক্ষা করা যাবে না।
ডিসি৭১/এমইউএন