রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
মো: আশেক উল্লাহ ফারুকী:
সরকারী ও বেসরকারী ভাবে উন্নয়ন ও ইমারত নির্মানে ইট হচ্ছে অন্যতম শিল্প। আর এ শিল্প প্রস্তুত কারী প্রকিষ্ঠান হচ্ছে ইট ভাটা। ইট প্রস্তুত ও পরিমাপ নিযে ভোক্তাদের সাথে প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে, ইট ভাটার মালিকেরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফের হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া শামলাপুরে ৭ টি ব্যাক্তি মালিকানাধীন ও প্রতিষ্ঠনের নামে ইট ভাটা রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ইট ভাটা লাইসেন্স এবং পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। বৈধতা ছাড়াই এসব ইট ভাটা প্রতিষ্ঠান এসব যোগ যোগ ধরে ইট প্রস্তুত করে আসবে। ইট প্রস্তুত ও পরিমাপ নীতি মালা থাকার পর ও এটি শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ এবং বাস্তবে এর প্রয়োগ নেই। সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ইট ভাটার নজরদারী এবং আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা থাকার পর ও ওরা দিনাদিন বেপরওয়া হয়ে উঠেছে। ইটের সাইজ এবং পরিমাপের ভোক্তারা প্রতিষ্ঠানের কাচে প্রতারনার শিকার হলে ও এর প্রতিকার চায়না। কেননা শস্যের ভিতর ভূত ঢুকায় ভোক্তার বাধ্য হয়ে ঐসব ক্রটিপূর্ণ ইটক্রয় করতে বাদ্য হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নাম করা ঠিকাদার আক্ষেপ করে বলেন, ইটেরে ক্রটিপূর্ণ সাইজ এবং পরিমাপের কারণে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে উন্নয়ন এবঙ ইমারত নির্মানে যেখানে ১ হাজার ইটের মধ্যে দেড় হাজার ইট প্রয়োজন। এতে করে অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় হয়। এভাবে প্রতারনার ফাঁদ বসিয়ে ইট ভাটার মালিকেরা হাতিয়ে নিচ্ছে, অতিরিক্ত অর্থ। প্রশ্ন উঠেছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভ্রম্যমান আদালত ব্যবস্থা থাকলেও ইট ভাটার উপর এ আইন প্রয়োগ হতে দেখা যায়নি। টেকনাফ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল.জিই.ডি) প্রকৌশলী এ প্রসংগে বলেন, প্রকৃত পক্ষে ইটের পরিমাপ ইটের দৈর্ঘ্য ৯ইন্সি, প্রস্থ ৪ ইন্সি, উচ্চতা পৌনা ৩ পুট। ইট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইটের ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম না থাকায় ওরা দিনাদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য প্রায় ইটের ভাটা বনাঞ্চলের পাশে থাকায় পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এছাড়া ও ইটের ভাটায় বৈধ লাইসেন্স নেই।