শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে, ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও আল বদরদের আক্রমণে নিহত, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি’ এর চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর, আপামর বাঙালির প্রতিরোধে, অজস্র আত্নত্যাগে, অসীম বীরত্বে যখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিল, তখন তারা বাঙালি জাতিকে পঙ্গু ও মেধাশূন্য করে দেয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ১৪ই ডিসেম্বর ইতিহাসের অন্যতম নির্মম, ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বাংলার সূর্যসন্তানদেরকে শহীদ করে। এ অপারেশনে ‘আল বদর বাহিনী’ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়ে বাঙালি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলেও দৃঢ়চেতা মনোবল নিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে আজ মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। আজ ২০২১ সালে প্রায় সকল ইতিবাচক সূচকে পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ, তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করেছে।
সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় অর্জন। কারণ যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ করে এদেশের নিরীহ মানুষদেরকে হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম কেঁড়ে নিয়েছে তাদের বিচার না হলে জাতি কখনো কলঙ্কমুক্ত হবে না। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রভাবে দীর্ঘদিন যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশের পবিত্র ভূমিতে অবাধে বিচরণ করেছে। অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুমুখী চাপ উপেক্ষা করে, ২০১০ সালে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল’ গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য শুরু করেছেন। আমরা তার এ সাহসী পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা রাখি স্বচ্ছতার সাথে এ ট্রাইবুনাল সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করবে।”
১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)’র চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।