রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক”
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে (পিআইও অফিস) বেতন ভাতা বিহীনভাবে কর্মরত, পিআইও অফিসের’ অঘোষিত রাজা’ জিয়াবুলকে নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গত ৭/৮ বছর ধরে পেকুয়া পিআইও অফিসে বেতন ভাতাহীনভাবে জগদ্দল পাথরের পাথরের মতো কর্মরত রয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবর পাড়া গ্রামের জিয়াবুল! শ্রমিক দল নেতা জিয়াবুল পেকুূয়া উপজেলায় যখন যে পিআইও আসে, তাঁকেই ম্যানেজ করে পিআইও অফিস কেন্দ্রীক নানান অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীতে পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্প কমিটির লোকজনের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, পেকুয়ার পিআইও অফিসে বেতন-ভাতা বিহীন কর্মরত থাকলেও জিয়াবুল পিআইও অফিস নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য ও ত্রাণ চুরি করে এখন কোটিপতি! তার ব্যাংক হিসেবে রয়েছে লাখ লাখ টাকা! পেকুয়া বাজারে অবস্থিত বেসরকারী একটি হাসপাতালের শেয়ারও কিনেছেন। জিয়াবুল তার গ্রাম মাতবর পাড়া থেকে কর্মসৃজন প্রকল্পের একাধিক শ্রমিকের টাকাও লুটে নিচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে।
এছাড়াও পেকুয়া উপজেলায় বিগত অর্থ বছরে দূর্যোগ সহনীয় ঘরের তালিকা তৈরীর সময় বিভিন্ন উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছেন জিয়াবুল।
পেকুয়া পিআইও অফিস কেন্দ্রীক নানান অনিয়ম-ঘুষ বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠলেও অদৃশ্য ইশারার কারণে জিয়াবুলকে পিআইও অফিস থেকে বিতাড়িত করতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা পিআইও মো: আমিনুল ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, পিআইওকে ম্যানেজ করে শ্রমিকদল নেতা জিয়াবুল পিআইও অফিসে বেশ দাপটের সাথেই রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। জিয়াবুল যেন পিআইও অফিসের অঘোষিত রাজা! পিআইওর আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে জিয়াবুল সরকারী অফিসের রাজস্বভুক্ত বা মাস্টার রুলের কোন কর্মচারী না হয়েও ঘুষ বানিজ্যে চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এসব বিষয়ে জানতে পেকুয়ার পিআইও আমিনুল ইসলামকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য সংযোজন করা সম্ভব হয়নি।
সূত্র: আলোকিত কক্সবাজার