বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

কক্সবাজার পৌরসভায় চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ, শীঘ্রই আলোর মুখ দেখবে পৌরবাসী

আরিফুল্লাহ নূরী:
কক্সবাজার পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে পুরোদমে চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। পৌরসভার আওতাধীন প্রতিটি সড়কে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। সংস্কার কাজ চলাকালীন সাধারন জনগনের কিছুটা অসুবিধা হলেও শীঘ্রই আলোর মুখ দেখবে পৌরবাসী। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে একচেটিয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শেষ হলে পৌরবাসী ফিরে পাবে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন একটি শহর। শহরের চা দোকান থেকে শুরু করে সবখানেই আড্ডায় মেতেছে শহরবাসী, সংস্কার কাজ শেষ হলেই পর্যটন নগরীর চিত্র পাল্টে যাবে। পৌর শহরের এই উন্নয়নের একমাত্র নায়ক হিসেবে পৌরবাসীর অভিমত, একমাত্র মেয়র মুজিবুর রহমানের জন্যই শীঘ্রই আলোর মুখ দেখবে কক্সবাজার পৌর শহর। সমস্ত কষ্ট-বেদনার অবসান হবে শীঘ্রই, এমনটাই আশা প্রকাশ করে পৌরবাসী।
সরেজমিনে কক্সবাজার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিদর্শন করে জানা যায়,
কলাতলী হোটেল-মোটেল জোন, পল্লাইন্যা কাটা, এবিসি ঘোনা, রুমালিয়ারছড়া, এসএম পাড়া এবং টেকপাড়া ৪নং ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রত্যন্ত এলাকায় আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণ কাজ হলো অন্যতম। এরমধ্যে এয়ারপোর্ট গেইট থেকে টুইট্টা পাড়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়াও লিংক-১ মেয়র হাউজ রোড, লিংক-২ (বিআইডব্লিউটি) জেটি রোড, লিংক-৩ নতুন বাহারছড়া রোড, লিংক-৪ মধ্যম নুনিয়ারছড়া জামে মসজিদ রোড, লিংক-৫ কেজি স্কুল রোড আরসিসিকরণ, ড্রেন, ফুটপাত নির্মাণ ও স্ট্রীট লাইট স্থাপন।
শহীদ স্মরণী রোড এবং লিংক-১ সালাম মিয়া রোড, লিংক-২ বাহারছড়া গোল চত্বর রোড, লিংক-৩ আরআরআরসি রোড, লিংক-৪ সাব রেজিস্টার অফিস রোড আরসিসিকরণ, ড্রেন, ফুটপাত ও স্ট্রীট লাইট স্থাপন।
বইল্যা পাড়া থেকে শহীদ স্মরণী রোড হয়ে গোলদিঘীর পাড় পর্যন্ত এবং লিংক-১ কক্স মার্কেট রোড, লিংক-২ শংকর মঠ মিশন রোড, লিংক-৩ সুইপার কলোনী রোড, লিংক-৪ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রোড থেকে খানেকা রোড, লিংক-৫ মোহাজের পাড়া রোড, লিংক-৬ জেলা পরিষদ রোড, লিংক-৭ বিকেপাল রোড আরসিসিকরণ, ড্রেন ও স্ট্রীট লাইট স্থাপন।
জেলেপার্ক মাঠ থেকে বিমান বাহিনীর গেইট এবং রিদুয়ান জামে মসজিদ থেকে শুটকী মহাল পর্যন্ত ও লিংক-১ নাজিরারটেক পুরাতন বাজার রোড আরসিসিকরণ, ড্রেন ও স্ট্রীট লাইট স্থাপন কাজ। থানা রোড হতে খুরুশকুল রোড পর্যন্ত এবং লিংক-১ কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান রোড, লিংক-২ পৌর সুপার মার্কেট রোড, লিংক-৩ ফুলবাগ সড়ক, লিংক-৪ বার্মিজ স্কুল রোড, লিংক-৫ পুরাতন ম্যালেরিয়া অফিস রোড, লিংক-৬ পেশকার পাড়া রোড, লিংক-৭ টেকপাড়া রোড আরসিসিকরণ, ড্রেন, ফুটপাত ও স্ট্রীট লাইট স্থাপনের কাজ অন্যতম।
পৌরসভার সচেতন মহলের দাবি, দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার পৌর শহর গড়ে তুলতে একচেটিয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এর আগে কখনো হয়নি। সংস্কার কাজ শেষ হলেই শহরবাসীর আনন্দ ছড়িয়ে যাবে প্রতিটি অলি-গলিতে।
পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেড়শ’ বছরের রেকর্ড ডিঙ্গিয়ে এবারই প্রথম প্রায় ৮৭ কোটি টাকার ড্রেন, ফুটপাত, লাইটিংসহ সড়ক উপ-সড়কের নির্মাণ কাজ করছে কক্সবাজার পৌরসভা। এর আগে এক টেন্ডারে সর্বোচ্চ ৬৫ কোটি টাকার কাজ হয়েছিল। এবারই প্রথম এক সাথে প্রায় ৮৭ কোটি টাকার কাজ টেন্ডার করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন মেয়র মুজিবুর রহমান। সেই সাথে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে ভেঙ্গেছেন দেড়শ’ বছরের রেকর্ডও। শুধু তাই নয়, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রায় দুইশ’ কোটি টাকা সড়ক যোগাযোগের খাতায় খরচ করেছেন তিনি। অতি দ্রুত সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শেষ হোক, এটাই প্রত্যাশা।
পৌরসভার কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত পৌরসভার বিভিন্ন সড়কের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছে। পর্যটন নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল খালেক বলেন, পৌরসভার এই পরিকল্পিত উন্নয়ন পৌরবাসীর সমস্ত কষ্ট লাঘব করতে সহায়তা করবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক এটাই প্রত্যাশা করছি। এক যুগে পৌরসভার সমস্ত সড়কে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান, যার কারণে অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার জননেতা মেয়র মুজিবুর রহমান।
পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুস সালাম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন মেয়র মহোদয়ের প্রতি, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস অচিরেই সংস্কার কাজ শেষ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রশংসার দাবিদার হবেন পৌর মেয়র জননেতা মুজিবুর রহমান।
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সমাজ সেবক আব্দুল কাদের চৌধুরী বলেন, মেয়র মুজিবুর রহমান পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধীরে ধীরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। বাচ্চা প্রসব করতে গেলে একটু বেদনা হবে, সেটা স্বাভাবিক বিষয়। তাই পৌরবাসীকে আহ্বান করবো, আর অল্পদিন কষ্ট সহ্য করতে। শীঘ্রই আলোর মুখ দেখবে পৌরবাসী।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সমাজ সেবক গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকায় এমন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আগে কখনো দেখিনি। পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছি। বাকী চলমান সংস্কার কাজ সমূহ শীঘ্রই শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সমাজ সেবক আতাউল্লাহ খালেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হচ্ছে। মেয়র মুজিবুর রহমান কক্সবাজার পৌরসভাকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলছেন। সংস্কারকাজে একটু কষ্ট হলেও মেয়র মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে সমূদ্রনগরী কক্সবাজারের চিত্র পাল্টে যাবে বলে মনে করছি।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেছেন, জাইকা প্রণীত মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী কক্সবাজারকে সাজানো হচ্ছে। কক্সবাজার পৌরসভায় উন্নয়নের জন্য ৮০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে পর্যটন নগরীর জরাজীর্ণ চেহারা।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সড়ক-উপসড়ক সমুহ সংস্কার করা হচ্ছে। শীঘ্রই বাকী সকল সড়কের সংস্কার কাজ চলবে পুরোদমে। বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ‘কাউন্সিলর কার্যালয়’ করা হয়েছে। এটি পৌরবাসীর জন্য গৌরবের। পৌরবাসীর কষ্ট লাঘবে কাউন্সিলর বৃন্দ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
পৌরবাসীর প্রতি মেয়র মুজিবুর রহমানের অনুরোধ, ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবিন বা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন, শিশুকে সময়মতো টিকা দিন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে গাছ লাগান, বিদ্যুৎ ও পানির অপচয় রোধ করুন। তিনি খুব শীঘ্রই পৌরবাসীকে একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত পর্যটন নগরী উপহার দিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। চলবে…


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *