রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কক্সবাজার শহরের লালদীঘিপাড়স্থ হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিংয়ে পুলিশের অভিযানে ২১ খদ্দর-পতিতা আটকের ঘটনায় ২ হোটেল মালিককে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন এসআই সানা উল্লাহ।
এতে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জন অজ্ঞাতসহ আসামী করা হয়েছে ৪০ জন। মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- কক্সবাজার শহরের টেকপাড়াস্থ কালুর দোকান এলাকার মৃত আহসান উল্লাহর ছেলে আহসান বোর্ডিং এর মালিক শহর আলী, শহর আলীর ছেলে মো. আলী তোফা ওরফে বাবু, আহসান বোর্ডিং এর ম্যানেজার রায়হান, ঈদগাঁও পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর আমির হোসেনের ছেলে মো. রুস্তম, একই এলাকার আব্দুল গফ্ফারের ছেলে মো. আব্বাস, কক্সবাজার লালদীঘির পাড় এলাকার মৃত ছৈয়দ নুরের ছেলে পাঁচতারা হোটেলের মালিক রমজান আলী সিকদার ও বান্দরবান লামা হাইদার নাসি এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে পাঁচতারা হোটেলের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, শহরের লালদীঘিরপাড় পাঁচতারা হোটেল ও আহসান বোর্ডিং এ পতিতালয় খুলে ব্যবসা করার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২১ খদ্দর-পতিতাকে আটক করা হয়। আটক ও পলাতকদের বিরুদ্ধে পতিতালয় পরিচালনা, পতিতাবৃত্তি ও সহায়তা করার অপরাধ এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচারের দায়ে পাঁচতারা হোটেলের মালিক রমজান আলী সিকদারের বিরুদ্ধে আগেও কয়েকটি মামলা হয়। জাসদ সমর্থিত যুবজোটের কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি হওয়ার সুবাদে অদৃশ্য শক্তির কারণে বারবার মামলার চার্জসীট থেকে সে বাদ পড়ে যায়। এর আগে তার বাবা মৃত সৈয়দ নুরও হোটেলের মালিক থাকাকালীন পতিতাবৃত্তির দায়ে মামলার আসামী হয়। মামলা নিয়ে তিনি মৃতবরণ করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর সেলিম উদ্দিন জানান, শহরের লালদীঘি পাড়ের হোটেল পাঁচতারা ও আহসান বোর্ডিংয়ে অভিযান চালিয়ে ১৪ খদ্দের ও ৭ পতিতা আটক করা হয়েছে সোমবার সন্ধ্যায়। পতিতাবৃত্তির দায়ে হোটেল মালিক রমজান আলী সিকদার ও শহর আলীসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিসি৭১/এমইউএন