শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
মো: আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ:
পর্যটক এবং থার্টিফাস্ট নাইট ২০২২ নতুন বছরকে সামনে রেখে টেকনাফ সীমান্তের আলোচিত চোরাই পয়েন্টের স্থল ও নৌপথ দিয়ে মাদকের চালান প্রবেশের আশংখা করছেন সীমান্তের সচেতন মহল। এ জন্য সীমান্তের দায়িত্বে সংশ্লিষ্ঠদের নজরকারী করা প্রয়োজন বলে সূত্রে জানা যায়। থার্টিফাস্ট নাইট ২০২২ নতুন বছরকে সামনে রেখে এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর ব্যস্তবতার মধ্যে দুদেশের সীমান্ত পর্যায়ের মাদক কারবারিরা এককাটটা হয়ে মাদক প্রবেশের ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সমপন্ন করেছে। এ উপলক্ষ্যে মিয়ানমার সীমান্তে বিভিন্ন পয়েন্টে মাদকের চালান মওজুদ করে রেখেছে। শুধুমাত্র মাদক প্রবেশের অনুকূল অবস্থার জন্য অপেক্ষা করছে। স্থল ও নৌপথে কৌশলে মাদক মিয়ানমার থেকে দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব সীমান্তবর্তী টেকনাফে ঢুকবে এমন আশংখা অনেকের। থার্টিফাস্ট নাইট নতুন বছরে মাদকের চাহিদা বেশী থাকবে বিধায় মাদক কারবারীরা এখন তৎপর। মাদক ব্যবসা লাভনীয়. লোভনীয়. চাহিদা ও যোগান থাকায় মাদক পাচার টেকাতে গিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকেরা সীমান্তে অতন্দ্র পহরীর ন্যায় কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছর পর্যটন মওসূম আগমনের পর অক্টোবর. নভেম্বর ও ডিসেমবর এ ৩ মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় মাদক জব্দের পরিমান বেশী ছিল। যা সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। থার্টিফাস্ট নাইট ২০২২ নতুন বছর আগমনে কক্সবাজার হোটেল মোটেল সহ দেশের বিভিন্ন পর্যটন বিনোদন এলাকায় প্রচুর পরিমান ইয়াবা বনাম মাদকের চাহিদা থাকায় এখন থেকেই মাদক কারবারীরা মাদকের চাহিদা মেটাতে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে। এ চাহিদা পূরনে স্থলে ও নৌপথে ওরা মাদক ঢুকাতের নানা অভিনব কৌশল হাতে নিয়েছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় সেন্টমার্টিনের সর্ব দক্ষিণ সাগর উপকূলীয় এলাকা দক্ষিান পাড়া ও চিরাদ্বীয়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার মংডু থেকে ফিসিংট্রলার যোগে ইয়াবার চলান এসে মওজুদ হচ্ছে। এসব ইয়াবা পর্যটক বেশী মাদক কারবারীর হাত বদল হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অতীতে আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে এ দুইটি পয়েন্ট থেকে প্রচুর পরিমান মাদক জব্দের ঘটনা অতীতে হয়েছিল। সম্প্রতি উখিয়া-টেকনাফে ৩৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকের রমরমা বানিজ্য চলছে। পাহাড়ি পথ দিয়ে ইয়াবার বড় বড় চালান কক্সবাজার হয়ে অভিনব কৌশলে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। এ প্রসংগে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ডে।নবনিযুক্ত অধিনায়ক বলেন, বিজিবি এ উপলক্ষে সীমান্তে টহল জোরদার এবং জিরোটলারেন্স নীতির প্রতি অটল থাকবে। টেকনাফ কোষ্ঠ গার্ড সদর দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমি ও জেনেছি সীমান্তের জল ওপথে মাদক এবং চোরাচালান রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইতিমধ্যে সম্পন্ন করে টহল জোরদার করে রেখেছি।