নুরুল আমিন হেলালী:
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলাধীন পোকখালী ইউনিয়নে আবুল কালাম বৈদ্যের নের্তৃত্বে একদল দুবৃর্ত্ত ৩ লবন মাঠ শ্রমিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় ওই ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী লবণ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন লবণ মাঠ শ্রমিক মোঃ আব্বাছ (৫৫), মোঃ শফি (৬২) এবং পুতুইয়া। আহতরা বর্তমানে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। ভূক্তভোগী এবং উল্লেখিত এলাকার মৃত নুরুল আমিনের বিধবা স্ত্রী সাবেকুন্নাহার তার ছেলে দেলোয়ার, জাঁ ও মৃত নুরুল আলমের বিধবা স্ত্রী মিনু আরা বেগম এবং তাঁর ছেলে ওমর ফারুক বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঈদগাঁও উপজেলা প্রেস ক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, আহতরা আমাদের সত্ব দখলীয় লবন মাঠের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল। আমাদের নিজস্ব জমিতে উল্লেখিত শ্রমিকেরা কাজ করার সময় ওই এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র আবুল কালাম বৈদ্যের নের্তৃত্বে তার ভাই আবছার একই এলাকার মৃত ইসলামের পুত্র শামশুল আলমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন লোহার রড, হাতুড়ি, ধারালো কিরিচ. লাঠি, খন্তা ও কোদাল নিয়ে আচমকা মাঠে কর্মরত ওই ৩ শ্রমিককে বেধড়ক পেটাতে থাকে। পরে আহতদের শোর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। কেন আপনাদের জমির শ্রমিকদের অভিযুক্ত আবুল কালাম বৈদ্যসহ অন্যান্যরা পিটিয়েে জখম করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ভূক্তভোগীরা জানায়, বিগত ১৯৫০ সাল থেকে দীর্ঘ ৭০ বছর ঈদগাঁও থানাধীন পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী মৌজার আর এস ১১১ নং খতিয়ানের আর এস দাগ ১২৬২, ১২৬৩, ১৭৪৮, ১৭৫২, ১৭৫৩ দাগের আন্দর ৩.৩১৫ একর জমির তুলনামুলক বিএস ৩০২ খতিয়ানের বিএস ৫২২২, ৫২২৩, ৫২২৭, ৫২২৮, ৫২৩২, ৩৬৫৬ ও ৩৮৯৮ দাগের আন্দর ৩.৩১৫ একর জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছি। মূল্যবান এ জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আবুল কালাম বৈদ্যসহ অন্যান্য ভূমি দস্যুদের। তারই ধারবাহিকতায় সন্ত্রাসীরা ওই জমি নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে এবং বিনা উস্কানিতে উল্লেখিতদের পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। বিধবাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসীরা জমিগুলো দখল করে নিয়ে চায় বলে ভূক্তভোদীদের দাবী। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও তারা জানান। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিতকরনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
Related