নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদগাঁও উপজেলায় জব্দ করার এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের চালু হয়েছে অনুমোদনহীন ও অবৈধ করাতকল।
এর নেপথ্যে বন কর্তাদের সাথে মোটা অংকের লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, ঈদগাঁও বঙ্কিম বাজারের উত্তর পাশে স্হাপিত জনৈক চাউল সিরাজের মালিকানাধীন অবৈধ করাতকল ঘিরে রাতদিন চোরাই কাঠের ব্যবসা চলে আসছিল। সংরক্ষিত বন উজাড়ের মাধ্যমে পাচার করে আনা বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ উক্ত করাতকলে চিরাই করে আসছিল সংঘবদ্ধ কাঠচোরেরা।
এতে আশপাশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল উজাড় হচ্ছিল।
এর প্রেক্ষিতে গত ৩০ ডিসেম্বর উক্ত করাতকলে অভিযান পরিচালনা করেন ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন খান।
এ অভিযানে অনুৃমোদনহীন উক্ত করাতকল উচ্ছেদ করা হয়।
এসময় চোরাই গর্জন গাছ, গর্জন বল্লী ও ১২.৫৩ ঘনফুট অন্য প্রজাতির গাছ এবং করাতকলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু এরপরেও রহস্যজনক কারনে কোন মামলা দায়ের করেনি বন বিভাগ ৷
অধিকন্তু উদ্ধারকৃত যন্ত্রাংশ কয়েকদিন পর গোপনে ফেরৎ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই উক্ত অবৈধ করাতকল ফের পুরোদমে চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে বশীভূত হয়ে বন কর্মকর্তারা কোন মামলা না করে ফের করাতকল চালু করার সুযোগ দিয়েছেন।
এতে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷
কিন্তু জব্দকৃত করাতকল পুনরায় চালু করার ব্যাপারে কিছু জানেননা দাবী করে ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন খান বলেন, “আমি কয়েকদিন আগে থেকে কক্সবাজার অবস্থান করছি, বিট অফিসার থেকে খোঁজ নিয়ে দেখছি”।
কক্সবাজার উত্তর বিভাগীয় বন কমকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, অবৈধ করাত চালু করলে ফের অভিযান পরিচালনা করা হবে৷
Related