রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ
টেকনাফ সীমান্তের স্থল ও নৌ-পথে ইয়াবার পাশাপাশি ক্রিস্টাল মেথ আইস (মাদক) পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন মতেই টেকানো যাচ্ছেনা অভিসপ্ত মাদক। বিশেষ করে পর্যটন মওসূম এবং ইউপি নির্বাচন সম্পন্নের পর থেকে মাদকের আগ্রাসন বৃর্দ্ধির একমাত্র কারণ বলে অনেকের এ অভিমত। টেকনাফ সীমান্তের বিজিবি, কোষ্টগার্ড, র্যাব-১৫ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ও পুলিশসহ পাঁচটি সংস্থা মাদক দমনে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে। এর পরও থেমে থেমে মাদকের চালনি ঢুকছে সীমান্তের বিভিন্ন চোরাই পয়েন্ট দিয়ে। স্থল ও নৌ-পথে সমান তালে অভিনব কৌশলে মাদক প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদক জব্দের তুলনায় মাদকসহ মালিক আটক পরিমান দৃশ্যমান নয়। মাদকজব্দ এবং আটক নিয়ে সীমান্তের সচেতন মহলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উত্তাপিত হচ্ছে। সম্প্রতি ইয়াবার পরিবর্তে মাদকের রাজা ক্রিস্টাল মেথ আইস পাচার বৃর্দ্ধি পেয়েছে। যা নিয়ে সীমান্তের সচেতন মহলকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে। এ নিয়ে অভিভাবক মহল ছেলে সন্তান নিয়ে অনিরাপদ মনে করছেন। মাদক ব্যবসা ও পাচারে বেশীরভাগ যুব সমাজ জড়িত হয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসায় রাতারাতী অর্থ ও বিত্তের মালিক বনতে ওরা এ পথকে ঝুঁকি মনে করলেও সোনার হরিণের আশায় জড়িত হয়ে পড়ছে। স্থলের চেয়ে নৌ-পথে মাদকের চালান বেশী আছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার গভীর জল সীমানায় ছদ্মবেশী দুদেশের পানি সীমান্ত জেলেদের মধ্যেমে হাতবদল হয়ে সাবরাং, টেকনাফ ও বাহারছড়া ইউনিয়নের সাগর সৈকত তীরে বিভিন্ন মৎস্য ঘাট দিয়ে মাদকের চালান খালাসের পর ঝাউবাগানে বালির নীচে লুকিয়ে রাখে এবং পরে অভিনব কৌশলে বিভিন্ন যান বাহন ও পরিবহণের আড়ালে পাচার করে দেয়। টেকনাফ ২ বিজিবি গেল ২০২১ সালের জানুয়ারী হতে ৩১ ডিসেম্বর এ বছরে স্থল ও নৌ-পথে পৃথক চোরাচালান ও মাদক বিরুধী অভিযান পরিচালনা করে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৭ হাজার ২১৫শত টাকার দামে ইয়াবা ক্রিষ্টাল মেথ আইসহ বিভিন্ন আমদানি নিষিদ্ধ চোরাই মালামাল ৯টি অস্ত্র উদ্ধারসহ ৭০ জন আটক, ৫জন পলাতক দেখিয়ে ১৯৫ মামলা রুজু করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ বিজিবি লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, চোরাচালান দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে এবং মাদক দমনে বিজিবি জিরো ট্রলারেন্স নীতির প্রতি অটল থাকবে। মাদকের সাথে যেই জড়িত হউক না কেন? কাউকে ছাড় দেওয়া যাবেনা।