রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
সারিসারি স্তম্ভ, বড় বড় পাখা, খোলা সাগরের বুক ছুঁয়ে আসা বায়ুর তোড়ে ভনভন শব্দের সাথে দিগন্তপ্রসারী আকাশের মিতালী৷ বলছিলাম কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত দেশের সব চেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কথা ৷ ২০০৮ সালে প্রথম দফায় এবং ২০১৭ সালে আরো একদফায় সম্প্রসারিত করে দ্বীপবাসির স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি তৈরি করা হলেও মূলত গ্রাহক কবে কয় ঘন্টা বিদ্যুৎ পেয়েছেন তাঁরা তা ভুলেই গেছেন, এখন পুরো প্রকল্পটি শুধুই দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনকারী স্থাপনা হিসেবেই টিকে আছে৷ কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘরে ঘরে রয়েছে মিটার, তার টানা রয়েছে, বিলের কাগজ ও পৌঁছে যায় মাস শেষে ঠিকই কিন্তু কি কারণে তাঁদের বিল পরিশোধ করতে হয় সেটাই তাদের জানা নেই এমনটি জানালেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ৷
গ্রাহক ইউপি সদস্য আকতার কামাল বলেন, মাসের শেষের দিকে কয়েকদিন মাত্র বিদ্যুৎ পাই তবে বিগত কয়েকমাস ধরে একাধারে বন্ধই রয়েছে, শেষ কবে বিদ্যুৎ পেয়েছি সেটা আমি ভুলেই গিয়েছি ৷
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প হয়েছে ঠিকই কিন্তু গ্রাহকের কাছে সেটা উল্টো বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় তাঁদের বিদ্যুতের অন্য উপায়ের পেছনে টাকা খরচ করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত ৷ বর্তমান সরকারের চলান জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হলে চলতি বছরের শেষের দিকে পুরো দ্বীপের মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে আশা করি৷
কুতুবদিয়া উপজেলা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী আবু হাসনাত জানান, বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় তাঁদের স্থানীয়ভাবে ৪৫০ জন গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে, প্রতি মাসে দুই সপ্তাহ বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ থাকে এটা মূলত বাতাসের গতিবেগের উপর নির্ভর করে৷