এবিষয়ে সেবা গ্রহীতার ভাই আবদুল আলিম বলেন, ১৪ জানুয়ারি মাত্র ৫ ঘন্টা আমার বোন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সেদিন সকাল সাড়ে এগোরটায় ছাড়পত্রের জন্য ক্যাশ কাউন্টারে বিল জমা দিতে গেলে ১৪ হাজার ১শ টাকা বিল দেখে হতভম্ব হয়ে যাই।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের দেয়া বিল ভাউচার অনুযায়ী ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা, ব্যাবস্থাপত্রের জন্য ৫শ, ডা. তানজিনা শারমিনের বিল ৮ হাজার ও হাসপাতাল বিল ৪ হাজার ৬শ টাকা ধরা হয়েছে।
আব্দুল আলিম বলেন, আমার বোনের সন্তান প্রসবের সময় ওই চিকিৎসক ঢাকায় ছিল। তার সাথে মুঠোফোনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে বলে শুনেছি। এই মুঠোফোনের যোগাযোগের জন্যই আট হাজার টাকা গুনতে হয়েছে।
শুধু সুমির পরিবার একা নয়, আরো অনেককেই জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে গুনতে হয়েছে ভুতুডে বিলের টাকা। বেশিরভাগ সেবাগ্রহীতার অভিযোগ ওই প্রসূতি চিকিৎসক তানজিনা শারমিনের বিরুদ্ধে। গত বছর ৩০ এপ্রিল ডেলিভারির রোগি জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক রোগীর কাছ থেকে ১৪ হাজার ৫শ টাকা নিয়েছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রোগি জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, প্রসব বেদনা উঠলে জেনারেল হসপিটালে ভর্তির জন্য পরামর্শ দেন ডা. তানজিন শারমিন।পরে স্বাভাবিকভাবে বাচ্চার জন্ম হয়। কিন্তু বিল দিতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। বিল হাতে নিয়ে দেখা যায় নরমাল ডেলিভারি করার পরেও ডা. তানজিন শারমিনার ফি ধরা হয় ১০ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, মাত্র ৮ ঘন্টায় হসপিটালের বিল ধরা হয় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। বিলের বিষয়ে আপত্তি জানালে কোন ধরনের সহযোগিতা না করে পুরো বিল নিয়ে নেন কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক তানজিন শারমিন বলেন, আমার কাছে অনেক রোগীই আসে। এসব বিষয় আমার এখন স্মরণ নেই। তারা কোন অভিযোগ আমার কাছে করেনও নি। একই প্রসঙ্গে তিনি হসপিটাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শও দেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার সুনয়ন বুড়ুয়ার সাথে যোগাযোগ করা হয়। তিনি অভিযোগ শুনার পর ব্যাস্থতা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
আর ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. জি এম কাদেরী বলেন, ডাক্তারের সুপারিশে যারা আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয় তারা মূলত ওই চিকিৎসকের রোগি আমাদের নয়। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের ফি নেওয়ার বিষয়ে আমাদের করার কিছু নাই।
তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে সবসময় সেখানে যাই না। মাঝেমধ্যে গিয়ে হিসাব দেখি। এক্ষেত্রে যদি ভোক্তভোগি পরিবার অভিযোগ করেন তবে ক্ষতিপূরন দেয়া হবে।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমি কক্সবাজারের সচেতন নাগরিক হিসেবে চাই সকল চিকিৎসকের ফি সিভিল সার্জন কিংবা উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করে দিক। সেক্ষেত্রে আর এমন ঘটনা ঘটবে না। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবুও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। এছাড়া ভোক্তভোগি পরিবার যদি একটি অভিযোগ করে সেক্ষেত্রে আরো কঠিনতম ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে। সুত্র: বিডিটোয়েন্টিফোর লাইভ ডটকম