শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

রোহিঙ্গাদের পুঁজি করে ওরা কোটিপতি!

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের পুঁজি করেই একাধিক ইয়াবা সিন্ডিকেটের অর্ধ সহস্রাধিক লোক জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন। তারা এখন কোটি টাকা ও অঢেল সম্পদের মালিক। মাদক, হুন্ডি এবং সোনা চোরাচালানের অর্থে তারা গড়ে তুলেছেন বিশাল সাম্রাজ্য। থাকেন বিলাসবহুল বাড়িতে।
চলাফেরা করেন বিলাসবহুল গাড়িতে? পৃষ্ঠপোষকতা করেন রোহিঙ্গাদের। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক রোহিঙ্গা কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসতি গড়ে তুলেছেন। জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে শত সহস্র রোহিঙ্গা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গেছেন। অবৈধ পথে নাগরিক সনদ নিয়ে রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়ছেন নানা অপকর্মে।
উখিয়া -টেকনাফের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করেই ওরা এখন একেকজন কোটিপতি ও সম্পদ পাহাড়ের উপর ভাসছে। কিছুদিন আগেও যারা ছিলেন গাড়ির হেলপার, পানের দোকানদার, দিনমজুর, খুচরা ব্যবসায়ী, ফেরিওয়ালা ও ব্যাটারির পানির ব্যবসায়ী, তারা আজ অঢেল সম্পদের মালিক। তাদের চোখ রাঙানিতে তটস্থ এলাকার মানুষ।
অভিযোগ রয়েছে, এরই মধ্যে তাদের অনেকেই বনে গেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান এবং মেম্বার। দিনের আলোতে তারা সমাজ সেবক-দানবীর। রাতের আঁধারে তারা ভয়ংকর মানুষ। রোহিঙ্গাদের অপরাধপ্রবণতা তাদের কাছে আশীর্বাদের মতো। আবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ করছে এমন দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা নিজেদের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্থায়ী করার জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী এলাকা থেকে একটি নৌকার মধ্য থেকে ১৪ লাখ ইয়াবা, ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকাসহ জহুরুল ইসলাম ফারুক নামে একজনকে গ্রেফতার করে কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন দুটি মামলা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক পুলিশকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা নাগরিক সৈয়দ মাঝি তার অন্যতম সহযোগী। তিনি বেশিরভাগ সময় মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তবে মাঝেমধ্যেই চালানসহ কক্সবাজারে আসেন। নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং কক্সবাজারের অভিজাত হোটেলে অবস্থান করেন। উত্তর নুনিয়ারচরা এলাকায় ফারুকের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের মধ্যে ফারুক শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এদিকে চার বছর আগেও উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের বাসিন্দা নাছির উদ্দিন বাদশা ছিলেন পানের দোকানদার। তিনিও এখন কোটিপতি। ইয়াবা নামের আলাদিনের চেরাগের স্পর্শে উখিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেছনে ছয়তলা বিলাসবহুল বাড়ি ছাড়াও রয়েছে তার ১০টির অধিক টমটমের শো-রুম। নামে বেনামে একাধিক জমি ছাড়াও রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।
অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের সিকদার বিলের বাসিন্দা নুর মুহাম্মদ বাদশা। বাবা সৈয়দ নূর মেকার। পাঁচ বছর আগেও ছিলেন বাসের হেলপার। সে সময় তার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া-আসা করা অন্য হেলপারদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঐ হেলপার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আজ কোটিপতি। নুর মোহাম্মদ বাদশা ছিলেন একজন পরিবহন শ্রমিক, তিনি এখন বেশ কয়েকটি বাসের মালিক। রয়েছে নামে-বেনামে অনেক সম্পদ। বাবা সৈয়দ নুর মিস্ত্রি। ২০২০ সালের ১৪ জুলাই ১০ হাজার ইয়াবাসহ র‌্যাবের কাছে আটক হয়েছিলেন পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী পূর্বপাড়া এলাকার পালংখালী ইউপির সাবেক মেম্বার নুরুল আবছার চৌধুরী ও নুরুল আলম চৌধুরী। ২০১৬ সালের ১৮ জুন পালংখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করার জন্য নুরুল আবছার নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দেন, ওখানে তার মাত্র ১৫ হাজার টাকা ও ব্যাংকে ৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা থাকার তথ্য দেওয়া হয়।
হলফনামায় যে অর্থ উল্লেখ করেছিলেন তিনি, সেটি মাত্র চার বছরে বহু গুণ বেড়ে গেছে। ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মাত্র ৫ বছরে আকাশ-পাতাল পরিবর্তন এসেছে আবছারের অর্থ-সম্পদে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে। বেশির ভাগ অপরাধ কর্মে তিনি রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করেন। হলফনামায় বাড়ির কথা উল্লেখ না থাকলেও বর্তমানে আবছার দুটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবন এবং ১টি বিশাল টিনশেড কলোনির মালিক।
এছাড়া বালুখালী পানবাজারে আবছারের বিশাল মুদির দোকান আছে। আছে একটি নোহা মাইক্রোবাস, একটি ডাম্পার ও একটি ট্রাক। অভিযোগ রয়েছে, ইয়াবা বহনের জন্য কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে এসব যানবাহনকে ব্যবহার করেন তিনি। আর পৃষ্ঠপোষকতা করেন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের। করইবুনিয়া রত্নাপালংয়ের বাসিন্দা ইকবাল আহমদ (৩০)। বাবা আলী আহমদ। গত পাঁচ বছর আগেও তিনি মানুষের জমি বর্গা নিয়ে কৃষিকাজ করতেন। গোপনে ইয়াবা ব্যবসা করে এরই মধ্যে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে ৮টি। একাধিকবার জেল খেটেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় একাধিক হোটেল-মোটেল ছাড়াও নিজ বাড়ি করেছেন প্রাসাদের মতো।
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের জাদিমুরার বাসিন্দা কবীর হোসেন। এলাকায় ইয়াবা কবীর নামেই পরিচিত। শূন্য থেকে কোটিপতিদের একজন। ইয়াবা মামলায় জেল খেটেছেন। জেল থেকে বেরিয়ে সেই একই ব্যবসায়। জাদিমুরায় রয়েছে তার বিলাসবহুল বাড়ি।
শুধু রোহিঙ্গা অপরাধীদের ব্যবহার করে বেকার থেকে আজ অঢেল সম্পদের মালিক তিনি। উখিয়া ঘিলাতলী এলাকার পলিটেকনিক্যাল কলেজের পাশে দুটি বিলাসবহুল ভবন ছাড়াও নামে-বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার অনন্য উদাহরণ হলো রাজাপালং ইউনিয়নের টাইপালং গ্রামের চায়ের দোকানদার নুর আহমদের ছেলে নুরুল আবছার।
স্থানীয়রা বলেন, এক সময়ে তার মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। গত কয়েক বছরে তার সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এখন তিনি আলিশান জীবনযাপন করছেন। সম্প্রতি উখিয়া টাইপালং রোডে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন পাঁচ তলাবিশিষ্ট বিলাসবহুল ভবন। তার শুরুটা হয়েছে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়। পরবর্তীতে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসার সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন। উখিয়া সদরে সরকারি জায়গায় দখল করে করেছেন আবছার ট্রেডার্স নামে বিশাল মার্কেট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে থেকে এই দেশে নিজেদের নামে জমি কিনে অবৈধভাবে বসবাস করছেন অনেক রোহিঙ্গা। জন্ম নিবন্ধন সনদ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরিতে জনপ্রতিনিধিরা তাদের সহায়তা করে থাকেন। অনেক রোহিঙ্গা স্থানীয় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে নাগরিক অধিকার ও সরকার প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে।
সৈয়দ নুর উখিয়ার বালুখালির বাসিন্দা। মিয়ানমারের নাগরিক হলেও এখন বর্তমানে বাংলাদেশের ভোটার। ইয়াবার ব্যবসা করে বনে গেছেন বিপুল সম্পদের মালিক। বর্তমানে ইয়াবা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালংয়ের বাসিন্দা রহমত উল্লাহ কালু। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলেমিশে ইয়াবা ব্যবসা করে কোটিপতি। কুতুপালং বাজারের পাশে বিলাসবহুল ভবন ছাড়াও রয়েছে নামে- বেনামে সম্পদ। মামলা অন্তত পাঁচটি। দুইবার গ্রেফতার হয়েছিলেন।
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ক্যাম্পের একচ্ছত্র অধিপতি বন্দুকযুদ্ধে নিহত বখতিয়ার মেম্বারের ছেলে। বাবার অবর্তমানে হাল ধরেছেন হেলাল। একই ওয়ার্ডেই মেম্বার হয়েছেন। চলেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে। কাজ কারবারও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে।
অভিযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইয়াবা ব্যবসা, অস্ত্র বাণিজ্য, চাল সিন্ডিকেট, সিএনজি সিন্ডিকেট, টমটম সিন্ডিকেট, বাজার সিন্ডিকেট সবকিছুতে তার হাত। তার মালিকানাধীন বখতিয়ার মার্কেটেই রয়েছে রোহিঙ্গাদের ৮০০-এর উপরে দোকান। বেশির ভাগ দোকানেরই বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধ। কুতুপালং এলাকায় তার বাইরে গেলেই চলে রোহিঙ্গাদের দিয়ে স্থানীয়দের নির্যাতন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেন্দ্রীয় বাজার ও সিন্ডিকেট থেকেই তার দৈনিক আয় ৫ লাখ টাকা। অল্প বয়সেই গডফাদারের তকমা লেগেছে তার গায়ে।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোনো অভিযোগই সত্য নয়। আমার বাবার বিষয়টি ভিন্ন।। উখিয়া ডেইলপাড়ার বাসিন্দা রফিক উদ্দীন রফু (৫০)। বাবা মৃত বাছা মিয়া। তার ভাই সাবেক মেম্বার মোরশেদ আলম। কিছুদিন আগেও রফিক কৃষিকাজ করতেন।
তবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে গত তিন বছরে হঠাৎ করেই বনে গেছেন ইয়াবার ডন। তিনি মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তিনতলা একটি অভিজাত ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে ২ তলা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, অত্যাধুনিক এই বাড়ি নির্মাণশৈলী এমন যে উখিয়ার লোকজন আগে কখনো দেখেননি। তিনি মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন কয়েকবার। এর বাইরেও কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গাদের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার ও পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে আবদুর রহিম, রফিক উদ্দীন, রহিম মেম্বারের বিরুদ্ধে।
এছাড়া এমন অভিযোগ রয়েছে, উখিয়ার জাহাঙ্গীর এবং তার ভাই বক্তার আহমেদ, বালুখালীর আবদুল মজিদ, কাস্টমস অফিস উখিয়াঘাটের বুজুরুজ মিয়া, ঘুমধুমের আ. হক, আলী আকবর, নুর হোসেন, আবদুর রশীদ, ইলিয়াস, ফয়সল মেম্বারের বিরুদ্ধে। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ আলী। নিজের প্রভাব ধরে রাখার জন্য ক্যাম্পে অবস্থানরত বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপকে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলে ইয়াবা পাচার ও বিভিন্ন অবৈধ কাজে জড়িত হয়ে বর্তমানে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ক্যাম্পের পাশেই তার মালিকানাধীন আলিশান মার্কেট। অতি সাধারণ পরিবারের সন্তান ও কুঁড়েঘরে জন্ম নেয়া মোহাম্মাদ আলী রোহিঙ্গাদের বদৌলতে বর্তমানে অট্টালিকায় বাসিন্দা হয়ে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছেন। এলাকার বাইরেও রয়েছে তার অনেক সম্পত্তি। তার অন্যতম সহযোগী হলেন রইক্ষ্যা ডাকাত। তিনি স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিক হলেও কাজের সুবিধার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করেন।
টেকনাফ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ইলিয়াছের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ডাকাত দলের অন্যতম সহযোগী ও নিয়ন্ত্রক, বহুল আলোচিত রোহিঙ্গা ত্রাস ডাকাত আবদুল হাকিমের ছোট ভাই নজির ডাকাতের সঙ্গে তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
আলোচিত আবদুল হাকিম ডাকাত ও তার ভাইদের ধরার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একাধিকবার তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। পরবর্তীতে আবদুল হাকিমের দুই ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীসহ মোট তিনজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারান। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোর অবস্থানে থাকায় সিন্ডিকেট প্রধান আবদুল হাকিম বর্তমানে আত্মগোপনে থাকলেও জাহাঙ্গীর তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে অতি কৌশলে ডাকাত দলের সব অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
হ্নীলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাফর ওরফে ইয়াবা জাফর। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা সিন্ডিকেট গঠন করে এরই মধ্যে হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক।
তিনি ক্রসফায়ারে নিহত নুর মোহাম্মদের অন্যতম সহযোগী। হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালীর মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবুল আলম। কিছুদিন আগেও নুন আনতে পানতা ফুরাতো তার। তবে ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে এখন তিনি অঢেল সম্পত্তির মালিক। পার্শ্ববর্তী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে রয়েছে তার দহরম মহরম সম্পর্ক। সাবেক মেম্বার শফিক আহমদ হত্যায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকলেও বর্তমানে এলাকায় ইয়াবা সাম্রাজ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণে ছিলেন হ্নীলা রঙ্গীখালীর ছেলে শাহ আজম এবং বাবা জামাল মেম্বার। পরে জামিনে এসে আবার জড়িয়ে পড়েন সেই আগের ব্যবসায়। রঙ্গীখালী, আলীখালী, লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইয়াবা সিন্ডিকেটের বড় একটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *