নিজস্ব প্রতিবেদক:::
বহু মামলার পলাতক ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী শাহেদ কে ধরিয়ে দিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশ।
সদর উপজেলার ক্রাইম জগতের ডন শাহেদ সময়ে অসময়ে পুলিশের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাকে আটকের ব্যাপারে পুলিশ বহুবার অভিযান চালিয়ে ও নিস্ফল হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, পাহাড়ের জমি অবৈধভাবে বিক্রি,দখল ও ভবন নির্মাণ, ইয়াবা কারবার, কাঠ পাচার, অস্ত্র কেনাবেচা এবং ভয়ভীতির জন্য ভাড়ায় মাস্তান পাঠানোসহ কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে ২৯ বছর বয়সী শাহেদুল ইসলাম নামক এই যুবক। কক্সবাজার সদর মডেল থানার আওতাধীন নাপিতখালী ও ঈদগাও এলাকায় শাহেদুল ইসলাম নামক এই যুবক এলাকার উঠতি বয়সীদের কাছে ‘ডন’ বলেই পরিচিত। বহু মামলার পলাতক আসামি শাহেদ কে অপরাধের রাজা হিসাবে সকলেই চিনে। আর স্থানীয় নিরীহ মানুষ ও পুলিশ যেন তার কাছে অসহায়! একদিকে মাদক ,অপরদিকে অবৈধ অস্ত্র তার একমাত্র ভরসা। তার এলাকায় রয়েছে অস্ত্রধারী মাদক কারবারীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যারা নিয়মিত তার কমান্ড ফলো করে। জানা যায়,আইনশৃংখলা বাহিনীর ভয়ে পলাতক শাহেদ মাদকের সিন্ডিকেটের লোকজন দিয়ে রাতে পাহারা বসিয়ে চলাচল করে।
ঈদগাও নাপিতখালী এলাকার ‘ডন’ শাহেদ মাদক কারবার, অস্ত্র কেনাবেচা ও বহনের মাধ্যম, জমি দখল এবং মাস্তান সরবরাহের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে গত পাঁচ বছর ধরে। আগে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ নিজে একাই করলেও এখন আস্তানা গেড়ে ইয়াবার কারবার, কাঠ পাচার ও পাহাড় দখল করে জমি বিক্রির মতো অপরাধে জড়িয়েছে শাহেদ। সরকারী বিভিন্ন বাহিনীর সাথে সু সম্পর্কের বাহানা দিয়ে ডিএফও,এসপি,ডিআইজির আপনজন পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করার ও অহরহ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রিজার্ভের জমি তথা সরকারি পাহাড় কেটে সমতল করে দখল বিক্রি, ফরেষ্ট এলাকায় কেউ ঘর নির্মাণ করলে ও নাকি তাকে টাকা দিতে হয়। তার ভয়ে মুখ খুুলেনা কেউ। এক সময় তার নুন আনতে পান্তা পুরালে ও মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় এখন বিপুল বিত্ত ভৈববের মালিক মাফিয়া ডন শাহেদ। চৌফলদন্ডীর ইয়াবার স্বর্গ রাজ্যে ও তার শক্ত হাত রয়েছে। আছে অস্ত্রের বিশাল ভান্ডার। যদি ও বা শাহেদ এ প্রতিবেদক কে বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
সম্প্রতি এই শাহেদ কে কক্সবাজারে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-এর একটি চৌকস অভিযানিক দল দু’টি ওয়ান শ্যুটার গান নিয়ে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সোমবার কক্সবাজার সদর উপজেলার বাংলাবাজার নামক এলাকা থেকে আটক করে। নির্বাচনের আগে অস্ত্রগুলো কেনাবেচার সময় হাতে নাতে র্যাব সদস্যদের হাতে আটক হন তিনি। আটক ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে ও জানা গেছে। অপরদিকে শাহেদ কে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা-আইএসআই’র একজন চর বলেও সন্দেহ করছে পুলিশ। তাকে র্যাব আটকের পর নানা তথ্য বেরিয়ে আসে। র্যাব-এর কক্সবাজার ক্যাম্পের তৎকালিন কমান্ডার মেজর মো. মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানায় ‘র্যাবের গোয়েন্দা সূত্রের খবর ছিল শাহেদ একজন অস্ত্র কারবারি। নির্বাচনকে সামনে নিয়ে কারবারি শাহেদের অস্ত্রের চালান পাচার করার আগাম সংবাদ ছিল র্যাবের কাছে। তিনি জানান, সোমবার র্যাব ওঁৎ পেতে থেকে কক্সবাজার সদরের বাংলাবাজার রাস্তার মোড় নামক স্থান থেকে অস্ত্রসহ তাকে হাতে নাতে আটক করে।
এ ছাড়া উক্ত শাহেদ সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে, মন্ত্রী এমপিদের বিষয়ে আপত্তিজনক বা মানহানিকর পোস্ট, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।পুলিশ জানায়, শাহেদ বর্তমানে গা ঢাকা দিয়ে ভুঁয়া আইডি খুলে সমাজের নানা মানুষের এবং সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ব্যস্ত শাহেদ।
তার বিরুদ্ধে ‘অপহরণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, সাইবার ক্রাইম, টাকা আত্মসাত সহ বহু মামলা রয়েছে। তম্মধ্যে বর্তমানে ৪ মামলার সে পলাতক আসামী। এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় এক বছরের সাজা ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহী, প্রতারক শাহেদ কে পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছে।
স্থানিয় রা জানায় শাহেদ একজন দুর্ধর্ষ ক্যাডার।
ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, তাকে এলাকাবাসী কেউ ভাল বলে স্বীকার করছেনা। তাদের কারনে এলাকার এবং সরকারের ও বদনাম হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জানায়,তার বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে। তম্মধ্য ৪ মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের সিআর মামলায় এক বছরের সাজা রয়েছে। তাকে আটকের ব্যাপারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া তাকে আটক করা মুশকিল।
Related