শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

রামুতে আদালতের আদেশ অমান্য করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে সড়ক নির্মাণ

বার্তা পরিবেশক:
রামু উপজেলার ফতেখারকুল মেরোংলোয়ায় আদালতের আদেশ অমান্য করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে নিরূপায় হয়ে জমির মৃত শামশুল হুদা চৌধুরীর পুত্র মালিক জাহাঙ্গীর আলম গং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নালিশী জমি ১৯৪৬ সালে বিঘা ৫১নং মামলায় চট্টগ্রাম দ্বিতীয় সাব জজ আদালতে বিগত ১৫/০৮/১৯৫৭ইং তারিখ শরীকদ্বার গণের সোলেনামা দাখিল সূত্রে বিভাগে বিক্রি হয়। উক্ত বিভাগের মামলার তপশীলে বর্ণিতমতে ৪ ‘ঘ‘ নং তপশীলে আরএস ২৫২নং খতিয়ানের আরএস ১৫৫৩, ১৫৫৪ ও ২০৯৪নং দাগাদীর সম্পূর্ণ ৪.৩০ একর জমি ৩নং বিবাদী মোবারেকা বেগম প্রাপ্ত হয়। তৎপর উক্ত মোবারেকা বেগম ২/১১/১৯৬২ইং তারিখ ৪৫৪৮, ৪৫৪৯নং দলিল মূলে তাহার প্রাপ্ত সম্পূর্ণ ৪.৩০ একর জমি জাহাঙ্গীর আলম গং এর পিতা শামশুল হুদা চৌধুরী গংকে বিক্রি করে নিঃস্বত্ববান হয়ে যায়। কথিতমতে ৪.৩০ একর জমি আন্দর আংশিক জমি ভুলবশতঃ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নামে রেকর্ড প্রচারিত হওয়ায় উক্ত ভুল রেকর্ডীয় বিএস রেকর্ড সংশোধনের জন্য জাহাঙ্গীর আলম গং বাদী হয়ে বিজ্ঞ রামু সহকারী জজ আদালতে অপর ১১১৯/২১ মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন আছে। উক্ত মামলা নালিশী জমি বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাদী বিবাদী উভয়পক্ষকে বিজ্ঞ আদালত বিগত ১৫/১২/২০২১ইং ৬নং আদেশতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত স্থিতিবস্থার আদেশ বিষয়ে উল্লেখিত মামলার ১নং বিবাদী নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) কক্সবাজারকে এ বিষয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়। বিজ্ঞ আদালতের জারীকারক যথারীতি ১নং বিবাদী নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) কক্সবাজারকে তলবনা প্রদান করেন। উক্ত মামলায় জেলা প্রশাসক ২নং বিবাদী ও হুকুম দখল কর্মকর্তা কক্সবাজার ৩নং বিবাদী। এছাড়া আরেক বিবাদী স্থানীয় মৃত সুরতান আহমদ এর পুত্র বশির আহাম্মদ, ৪নং বিবাদী গোলাম মোস্তফা বাবুল, ৫নং বিবাদী মৃত গোলাম শরীফের পুত্র রেজাউল করিম, ৬নং বিবাদীসহ স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাস্তান প্রকৃতির সহযোগিতায় সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর অবৈধভাবে সড়ক নির্মাণের কাজ করার পাঁয়তারা করছে। বিবাদীগণের দাবী মতে উল্লেখিত মামলার তপশীলে বর্ণিত বিরোধীয় জমি সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ অধিগ্রহণ করেনি। কোন প্রকার ক্ষতিপূরণের টাকাও পাই না। এমআরআর ২৩৮নং খতিয়ান মোবারেকার নামে রেকর্ড প্রচারিত আছে। বিষয়টি রামু থানার ওসি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এবং নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ)কে উক্ত আদেশ প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন রকম কর্ণপাতই করছে না বলে জানিয়েছেন জমির মালিখ জাহাঙ্গীর আলম গং। বিবাদীর দাবী এলএ মামলা নং-১৬, ১৯৫৪, ১৯৫৫।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *