বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

পেকুয়ায় গহীন পাহাড়ে অস্ত্র তৈরীর কারখানা: ৮টি দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ আটক ৩

পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ার পাহাড়ী জনপদ টইটংয়ের গহীন পাহাড় থেকে দা-বাহিনীর সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড আবদুল হামিদের অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে ৮টি দেশীয় অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল। ২ দিন ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টইটংয়ের গহীন পাহাড় ঝুম পাড়া পাহাড়ে পাহাড়ি এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত আবদুল হামিদের অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল। এসময় টৈটং ঝুম পাড়া এলাকার নুরুল কাদেরের ছেলে ডাকাত আবদুল হামিদের ছোট ভাই আবদুল গফুর, মোঃ মুছার ছেলে বাদশা ও নাপিতখালী এলাকার আমিরুল কবিরকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ৮টি দেশীয় অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
২ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ১০ টায় র‌্যাব ৭ এর সিইউ লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ গহীন পাহাড়ে ওই দেশীয় অস্ত্র তৈরির কারখানায় সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস বিফ্রিং করেন।
এ সময় তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি ‘উপকূলের শীর্ষ জলদস্যু পেকুয়ার কবির আটক হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞেসাবাদে জানা যায়, টৈটংয়ের পাহাড়ি এলাকা ঝুমপাড়ায় ডাকাত আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। যেখানে অস্ত্র তৈরি ও বেচা-কেনা হয়। এ কারখানায় তৈরি অস্ত্র চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হয়।
এরপরও বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি পেকুয়ার এ গহিন পাহাড়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকার মানুষ কে দিনদুপুরে হত্যা নির্যাতনসহ অতাচার নির্যাতন করে আসছে এ হামিদ বাহিনী। এলাকার লোকজন ভয়ে মুখ খুলছে না। তিনি আরো বলেন, ২দিন অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেও আবদুল হামিদ পালিয়ে যায়। তবে সে নজরদারিতে রয়েছে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭-এর একটি টিম পেকুয়ায় এই অভিযান শুরু করে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান শেষ করে। আটক ৩ জনের মধ্যে ডাকাত আমিরুল একজন দক্ষ অস্ত্র তৈরির কারিগর। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে কারখানার সন্ধান দেয় তারা। কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেশী অস্ত্র তৈরীর নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তারা এখানে জেনেরেটর চালিয়ে এ অস্ত্র তৈরি করতো বলে জিজ্ঞেসাবাদে তারা জানিয়েছেন।
ওই এলাকায় ১১টি পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ২টি পাহাড়ে এই বাহিনীর আস্তানা পাওয়া যায়।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন তাদের নির্যাতন সহ্য করা যায়না জীবনের ভয়ে অত্যাচার সহ্য করতাম তাদের আটকের পর একটু সস্তি পেয়েছি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত কানন সরকার আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এখনো র‌্যাবের পক্ষ থেকে আসামী থানায় দেওয়া হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *